জমে উঠেছে বিপিএল। তামিমদের ফরচুন বরিশালকে ১ উইকেটে হারিয়ে টেবিল টপার হিসেবে এখনো শীর্ষে রংপুর রাইডার্স। তামিম ইকবালের দলকে হারানোর পেছনে বড় ভূমিকায় ছিলেন রংপুরের পেসার আবু হায়দার রনি। ১২ রানে ৫ উইকেট নেওয়ার পর ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রনি জানালেন দলের বাইরে থাকা সুখকর নয় তার কাছে।
রনি বলেন, 'আসলে বাইরে বসে থাকা কখনোই সুখকর না। এটা ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে কাজ করে যে বাইরে বসে আছি। আমি চেষ্টা করছিলাম প্র্যাকটিসে যেন ভালো করি। ম্যানেজমেন্ট যেন আমার ওপর বিশ্বাস করে যে আমি পারব। আমি আমার চেষ্টাটাই হয়তোবা করেছি। উনারা ভালোভাবে নিয়েছেন। আমি সবসময় চেষ্টা করি যেখানেই সুযোগ পাব আমি যেন আমার সেরাটা দিতে পারি নিজের সাথে কখনও চিট করি না।'
চট্টগ্রামের ম্যাচে ১০ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ফরচুন বরিশালের সংগ্রহ ছিল ১০০ রান। নিশ্চিতভাবেই বড় সংগ্রহের পথে ছিল তামিম ইকবালের দল। তবে ১৩তম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে এসে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন আবু হায়দার রনি। এক ওভারে তিন উইকেট নিয়ে বরিশালের মেরুদন্ড ভেঙে দেন এই পেসার। এরপর পেয়েছেন আরো দুই উইকেট। সবমিলিয়ে ইনিংসে ৪ ওভারে ১২ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছেন রনি। যা বিপিএলে বাংলাদেশের কোনো বোলারের সেরা বোলিং। তাতে ম্যাচসেরা পুরস্কার উঠেছে রনির হাতে।
ম্যাচসেরা হতে পারবেন ম্যাচের আগে চিন্তা করেছিলেন কি না এমন প্রশ্নে রনি বলেন, 'আসলে ম্যাচ শুরুর আগে কেউই চিন্তা করে না আজকে আমি এত ভালো করব বা ম্যাচসেরা হবো। ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে থাকে আমি ভালো করার জন্য নেমেছি। আমি যেন দলকে ইমপ্যাক্ট পারফরম্যান্স দিতে পারি। আমার এক ওভারেই হয়তো ম্যাচ ঘুরে গেছে। এইটাই আসলে সবাই চিন্তা করে আমি যেন দলকে সাহায্য করতে পারি। যদি ম্যাচ হেরে যেতাম তাহলে আমার ৫ উইকেটের কোনো দাম থাকত না। দলের জন্য ছোট ছোট অবদান এইটাই অনেক বড় বিষয় ম্যাচ জেতার জন্য।'
নিজের এমন জাদুকরী বোলিং নিয়ে রনি জানান, 'আমার পস্ন্যান ছিল একদম সিম্পল। আমরা দেখছিলাম যে উইকেটটায় ব্যাক অব দ্য লেন্থে যদি আমরা হিট করি তাহলে একটু বাউন্স ছিল এইটাই পস্ন্যান ছিল আমি যেন উইকেট বরাবর হার্ড লেন্থে করতে পারি। ব্যাটার যেন আমাকে থ্রম্ন দ্য লাইন খেলতে না পারে। এটাই আমার পস্ন্যান ছিল। আর আমি বেশি কিছু চিন্তা করি নাই। একটা পস্ন্যানে অটল ছিলাম এজন্য হয়তো আমি সফল হয়েছি।'
চট্টগ্রামের উইকেট নিয়ে রনি বলেন, 'উইকেটটা আসলে আমি মনে করি ব্যাটারদের জন্য একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল। শুরুতে উনারা খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। এরপর আমরা যেভাবে কামব্যাক করলাম। আমাদের জন্য খুবই ভালো ছিল। যে উইকেট ছিল শিশির ছিল একটু স্কিড করছিল বল। পেস বল ব্যাটিং করাটা সহজ ছিল না। পেসারদের জন্য সাহায্য ছিল।'