জিতলেই পেস্ন-অফ নিশ্চিত কিন্তু হারলেই বাদ পড়ার শঙ্কা। এমন সমীকরণ নিয়েই খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি হয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তোলেন চট্টগ্রামের তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। স্বীকৃত টি২০ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। তানজিদ তামিমের সেই সেঞ্চুরিই শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রামকে দেখাল পেস্ন-অফ পর্বে যাওয়ার পথ।
চলমান বিপিএলে সাদামাটা একটি দল গঠন করেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলে বড় কোনো তারকা ক্রিকেটার না থাকলেও আসরে আলো ছড়িয়েছে বন্দর নগরীর দল। শেষ পর্যন্ত পেস্ন-অফ নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম। লিগ পর্বে শেষ ম্যাচে খুলনাকে ৫৬ রানের ব্যবধানে হারিয়ে পেস্ন-অফ নিশ্চিত করেছে তামিম-শুভাগতরা।
কোনো রকমে টিকে আছে খুলনার ভাগ্য। নিজেদের শেষ ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে কেবল জিতলেই হবে না, প্রার্থনায় থাকতে হবে কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ফরচুন বরিশালের বড় হারের।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনা টাইগার্সকে ১৯৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জবাব দিতে নেমে ১২৭ রানেই গুটিয়ে যায় খুলনা। এতে ৬৫ রানের বড় জয় পায় চট্টগ্রাম। এতে পেস্ন-অফ নিশ্চিত করেছে তারা। অন্যদিকে পেস্ন-অফ থেকে অনেকটায় ছিটকে গেছে খুলনা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় খুলনা। ৮ বলে ৬ রান করে আউট হন পারভেজ ইমন। তৃতীয় উইকেটে শাই হোপকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন এনামুল হক বিজয়। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেনি দুজনের কেউই। ২৪ বলে ৩৫ রান করে আউট হন বিজয়, ২১ বলে ৩১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন হোপ।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি ইভেন লুইসও। ৩ বলে ৬ রান করে রান আউট হন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। এরপর উইকেটে মিছিলে যোগ দেন আফিফ হোসেন (৬) এবং মাহমুদুল হাসান জয় (৭), পার্নেল (২) ও নাসুম আহমেদ (৩)। কিন্তু এক প্রান্ত থেকে রান তুলতে থাকেন জেসন হোল্ডার। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১৭ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ডান হাতি ব্যাটার। শেষদিকে মুকিদুল ৩ রানে আউট হলে ১২৭ রানেই গুটিয়ে যায় খুলনা। এতে ৬৫ রানের বড় জয় পায় চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন শুভাগত হোম। দুই উইকেট নেন বিলাল খান। এ ছাড়া সালাউদ্দিন সাকিল, শহিদুল ইসলাম, রোমারিও শেফার্ড ও নাহিদুজ্জামান একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রামকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেয় তানজিদ হাসান তামিম। ৬৫ বলে ১১৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন এই বাঁ হাতি ব্যাটার। ১৭ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন সৈকত আলী। শেষ পর্যন্ত টম ব্রম্নসের ২৩ বলে অপরাজিত ৩৬ রানে ভর করে ১৯২ রানের বড় পুঁজি পায় চট্টগ্রাম।