'কমওনয়েলথ কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপের মতো আসর ঢাকায় হলে, এদেশের অর্থনীতিতেও তার সুপ্রভাব পড়বে। কারণ বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশের দেড় হাজার ক্রীড়াবিদ ও কর্মকর্তা ঢাকায় আসবেন', শনিবার মিরপুর শহিদ ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথাগুলো বলেন কমনওয়েলথ কারাতে ফেডারেশনের সভাপতি সনি পিলস্নাই। এ সময় কারাতে ফেডারেশনের সভাপতি ড. মো. মোজাম্মেল হক খান এবং সাধারণ সম্পাদক ক্য শৈ হ্লা ছিলেন।
২০২১ সালে কমনওয়েলথ কারাতে ফেডারেশনের কংগ্রেসে এ বছরের আয়োজক হওয়ার প্রস্তাব পেশ করেই সফল হয় বাংলাদেশ। ক'ওয়েলথভুক্ত ৭২ দেশের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩২ দেশ এই চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার জন্য নিবন্ধন করেছে। ২৫-২৯ সেপ্টেম্বর শহিদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় প্রতিযোগিতায় নেশন্স ও ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ-দুই বিভাগে নয়টি ডিসিপিস্ননে খেলা হবে। ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে ক্যাডেট, জুনিয়র, অ-২১, সিনিয়র ও ভেটারার্ন এবং নেশন্স বিভাগে ক্যাডেট, জুনিয়র, অ-২১ ও সিনিয়র। কাতা ও কুমি- দুই কৌশলেই লড়বেন দেড় হাজার কারাতেকারা। ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, 'আমরা চারটি দেশকে পরাজিত করে আয়োজক হওয়ার গৌরব অর্জন করেছি। এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো সুষ্ঠুভাবে খেলার আয়োজন করা। যাতে ভবিষ্যতে কারাতের আরও বড় আসর আমরা আয়োজন করতে পারি।' সাধারণ সম্পাদক ক্য শৈ হ্লা বলেন, '২০১৫ সালে ভারতের দিলিস্নতে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে দুটি করে রুপা ও ব্রোঞ্জ জিতেছিল বাংলাদেশ। দুই বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় রুপা জিতেছিলাম আমরা। এবার স্বর্ণপদকের জন্য লড়ব।'
চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়া কারাতেকাদের থাকা, খাওয়া ও যাতায়াতের ব্যায়ভার স্ব-স্ব দেশ বহন করবে। জানা গেছে, নেশন্স বিভাগে কারাতেকাদের নিবন্ধনের ৪০ ভাগ কমনওয়েলথ ও ৬০ ভাগ অর্থ পাবে আয়োজক দেশ। ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে নিবন্ধনের পুরোটাই পাবে বাংলাদেশ।