এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখল কাতার
প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রথমবার এশিয়ান কাপের ফাইনালে উঠেছিল জর্ডান। রূপকথা তৈরির সুযোগ ছিল তাদের সামনে। কিন্তু পারল না। বরং ২০২২ সালের বিশ্বকাপের দুঃসহ স্মৃতি ভুলিয়ে দেওয়া সাফল্য পেল কাতার। ঘরের মাঠে প্রায় ৮৭ হাজার দর্শকের সামনে শিরোপা উৎসব করল তারা। লুসাইল স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে এশিয়ান কাপের ফাইনালে তিনটি পেনাল্টি পেয়ে সবগুলো কাজে লাগিয়েছে স্বাগতিকরা। তিনটি গোলই করেছেন আকরাম আফিফ। তার হ্যাটট্রিকে ৩-১ গোলে জর্ডানকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়ার সেরা হলো কাতার।
যদিও জর্ডান প্রথম কোনো বড় ট্রফির খোঁজে ছিল। কিন্তু তাদের স্বপ্ন ভেঙে দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখল কাতার। দেশটির প্রধান শাসক শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সামনে বিজয়ের স্বাদ পায় তারা। ম্যাচের প্রথমার্ধে আফিফ পেনাল্টি থেকে কাতারকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে ইয়াজান আল নাইমাত গোল করলে আশা ফিরে পায় জর্ডান। কিন্তু তাদের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয় স্বাগতিকরা আরও দুটো পেনাল্টি পেলে। বাকি দুটি গোলও করেন আফিফ, তাতে আট গোলে টুর্নামেন্ট শেষ করলেন শীর্ষ গোলদাতা হিসেবে।
২০১৯ সালের পর টানা দ্বিতীয়বার এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হলো কাতার। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই তাদের বিজয়ের নায়ক আফিফকে সতীর্থরা উপরে ছুড়ে মেরে আনন্দ উদযাপন করেন। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ভ্যালুয়েবল পেস্নয়ারও হয়েছেন তিনি। বক্সের মধ্যে আব্দালস্নাহ নাসিবকে পেছনে ফেলতে গিয়ে ফাউল হন আফিফ। সঙ্গে সঙ্গে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। টাচলাইন থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান জর্ডান কোচ হুসেইন আমৌতা। কাতার অধিনায়ক পেনাল্টি নেওয়ার দায়িত্ব দেন আফিফকে। আশাহত করেননি তিনি। নিচু কোনাকুনি শটে জাল কাঁপান ২২তম মিনিটে।
আর শেষ ষোলোতে ইরাকের বিপক্ষে নাটকীয় জয়ের পর প্রথমবার গোল হজম করে জর্ডান। বিরতির পরই ঘুরে দাঁড়ানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করে তারা। কাতারের রক্ষণের ফাঁক গলে ঢোকার চেষ্টা করেছিল কয়েকবার। কর্নার থেকে ইয়ান আল আরব প্রায় গোল শোধ করে ফেলেছিলেন। কিন্তু তার ভলি সরাসরি কিপারের হাতে যায়। মিনিটখানেক পর কাছের পোস্ট থেকে আলী ওলওয়ানের ব্যাক হিল শট কয়েক ইঞ্চি পাশ দিয়ে মাঠের বাইরে যায়। জর্ডান অবশেষে সমতাসূচক গোলের দেখা পায়। দ্বিতীয়ার্ধে ক্রস থেকে দারুণভাবে বল নিয়ন্ত্রণে নেন আল নাইমাত। তারপর তার মার্কারকে বোকা বানিয়ে অপ্রতিরোধ্য শটে এশিয়া কাপে নিজের চতুর্থ গোল করেন তিনি।
কিন্তু সমতা ধরে রাখতে পারেনি জর্ডান। ছয় মিনিট পর কাতার আবার পেনাল্টি পায়। মাহমুদ আল মার্দি বক্সের মধ্যে ইসমাঈলকে ফাউল করলে রেফারি ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত জানান। এবারও ভুল করেননি আফিফ। ইনজুরি টাইম দেওয়া হয় ১৩ মিনিট। জর্ডান সমতা ফেরাতে হন্যে হয়ে উঠেছিল। কিন্তু কাতার আরেকবার পেনাল্টি পায়। আফিফকে ফাউল করেন গোলকিপার ইয়াজিদ আবু লায়লা। নিজেই শট নেন কাতারি ফরোয়ার্ড এবং ফাইনালে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে হ্যাটট্রিক করে ইতিহাস গড়েন তিনি।