সাকিব আল হাসানের ১৪১ উইকেটের পর বিপিএলে দ্বিতীয় সর্বাধিক (১১০) উইকেট শিকারি রুবেল হোসেন। কিন্তু গতকালের আগ পর্যন্ত এবারের বিপিএলে সেই সফল বোলারকেই খেলায়নি খুলনা টাইগার্স। জাতীয় দলের সাবেক পেসার রুবেল হোসেনকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে খুলনা ভক্তদের মধ্যে অনেকের ছিল রাজ্যের ক্ষোভ। কিন্তু শুক্রবার রুবেল-ভক্তদের মুখ বন্ধ। খুলনা টাইগার্স সমর্থকদের মুখে তালা।
এবারের বিপিএলে শুক্রবার সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে প্রথমবার সুযোগ পেয়েই বল হাতে বেদম মার খেয়েছেন রুবেল। ৩৬ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় ও সিলেট ইনিংসের ১৯তম ওভারে ৩ ছক্কা ও ১ বাউন্ডারি হজম করা রুবেল ২৪ রান দিয়ে চরম নাজেহাল। খুলনার জয়ের যে আশাটুকু ছিল, সেটা শেষ হয়ে যায় ওই ওভারেই।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে সফল পেসারদের তালিকায় রুবেলের নাম আছে। ওয়ানডে বিশ্বকাপে ম্যাচ জেতানোর নজিরও আছে তার। বিপিএল ইতিহাসের অন্যতম সফল বোলারদের তালিকায়ও রুবেল শীর্ষ দুইয়ের একজন।
কিন্তু ইতিহাস জানাচ্ছে, বিপিএলের গত আসর থেকেই শনির দশা পেয়েছে রুবেলকে। গতবার এই শেরেবাংলায় কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ফাইনালে সিলেট স্ট্রাইকার্সের পক্ষে রুবেল ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে পেয়েছিলেন ২ উইকেট।
আর এবার প্রথম ম্যাচ খেলতে গিয়ে সিলেট স্টাইকার্সের বিপক্ষে দিলেন ২ ওভারে ৩৬। এখানেই শেষ নয়। রুবেলের বেদম মার খাওয়া ও অকাতরে রান দেয়ার রেকর্ড আসলে অব্যাহত আছে।
দারুণ কাকতালীয় ব্যাপার হলো, রুবেল এক বছরের ব্যবধানে পর পর ২ খেলায় নিজের শেষ ওভারে সমান তিনটি করে ছক্কা এবং একটি করে বাউন্ডারি হজম করলেন।
গত বছর বিপিএল ফাইনালে সিলেট স্ট্রাইকার্সের পক্ষে কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্সের সাথে শেষ ওভারে ৩ ছক্কা ও এক বাউন্ডারি হজম করাসহ রুবেল দিয়েছিলেন ২৩ রান। যার সবকটা ছক্কা ও বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন কুমিলস্নার হয়ে খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটার জনসন চার্লস। তারপর আর বিপিএলে কোনো ম্যাচ খেলেননি রুবেল।
এক বছর পর সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে খেলতে নেমে প্রথম ওভারে ১২ রান দিয়ে উইকেট পাননি। এরপর সিলেট ইনিংসের ১৯তম ওভারে এসে ঠিক আগের মতো প্রতিপক্ষ ব্যাটারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত রুবেল।
এবার রুবেলকে তিনটি ছক্কা ও একটি চার হাঁকিয়েছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের জিম্বাবুইয়ান ব্যাটার রায়ান বার্ল। এবার এক ওভারে খরচ ২৪ রান। তার মানে গতবার যেখানে শেষ করেছিলেন রুবেল, এবার যেন ঠিক সেখান থেকেই শুরু করলেন।