৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাপ্তি ৩৫ অ্যাথলেট!

প্রকাশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত ৪৭তম জাতীয় অ্যাথলেটিক্সের সংবাদ সম্মেলন ছাপিয়ে আলোচনায় গত বছর শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা। গত বছর প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে দেশব্যাপী অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছিল। যা বাংলাদেশের অ্যাথলেটিক্সে বড় এক ঘটনা। ওই প্রতিযোগিতায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। এত সংখ্যক প্রতিযোগীর মধ্যে ফেডারেশনের প্রাপ্ত 'ট্যালেন্ট' সংখ্যা মাত্র ৩৫ জন।  চূড়ান্ত পর্যায়ে আসা অ্যাথলেটদের মধ্যে থেকে ফেডারেশন এই বাছাই করেছে। এক বছর আগে বাছাই করা অ্যাথলেটদের দিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি ক্যাম্প। এত কোটি টাকা ব্যয়ে এতদিন পর দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু কেন, এই প্রশ্ন সংবাদ সম্মেলনে এসেছে ঘুরেফিরে। ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জায়েদুল আলম এর ব্যাখ্যায় বলেন, 'স্কুল-মাদ্রাসায় পরীক্ষা ও নির্বাচনসহ নানা কারণে এটি বিলম্ব হয়েছে।' সংবাদ সম্মেলনে তার পাশে বসা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব (মন্টু) যোগ করেন, 'আমাদের ক্যাম্প করার মতো সে রকম সুযোগ সুবিধা নেই। বিকেএসপি'তে অনুমতি নিতে হয়, আরও আনুষঙ্গিক নানা সমস্যাও ছিল।' গতবছর প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে দেশব্যাপী অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। ওই প্রতিযোগিতায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। এত সংখ্যক প্রতিযোগীর মধ্যে ফেডারেশনের প্রাপ্ত ট্যালেন্ট সংখ্যা মাত্র ৩৫ জন। কোটি টাকা ব্যয়ে এত বড় আয়োজনের মূল লক্ষ্যই ছিল প্রতিভাবান অ্যাথলেট তুলে আনা। সেই প্রতিভাবান অ্যাথলেটদের প্রশিক্ষণ, আবাসনের বিষয়টি নিশ্চিত না করেই এই প্রকল্প কেন সেই প্রশ্নও উঠেছে। এই ব্যাপারে ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বলেন, 'আপনাদের প্রশ্নগুলো যৌক্তিক ও আমারও। আমাদের পরিকল্পনা সামনে আরও বিশদভাবে করব। তবে অ্যাথলেটিক্স নিয়ে কাজ চলছে। শুক্রবার সভাপতির কাছ থেকে আপনারা আরও কিছু জানতে পারবেন।' এক বছর বিরতি দিয়ে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স আবার মাঠে গড়াচ্ছে। অ্যাথলেটিক্সের তীর্থস্থান বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিরছে। অ্যাথলেটরা নতুন ট্র্যাকের জন্য মুখিয়ে আছেন বলে জানান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, 'প্রত্যেক অ্যাথলেট খুব অপেক্ষায় আছেন এই মিটের জন্য। আমরাও প্রস্তুত। এবারের প্রতিযোগিতায় ফটোফিনিশিং, ইলেকট্রনিক টাইমিং সবই থাকছে। এ জন্য টেকনিক্যাল অফিসারের সংখ্যাও বেশি।'