রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রোটিয়াদের রেকর্ড ব্যবধানে হার

সিরিজে এগিয়ে গেল কিউইরা

ক্রীড়া ডেস্ক
  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
উইকেট নেওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস -ওয়েবসাইট

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার অনভিজ্ঞ দলটির ওপর নিউজিল্যান্ড যেভাবে ছড়ি ঘোরাচ্ছিল, তাতে স্বাগতিকদের জয়টা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তারপরও বুধবার চতুর্থ দিন বিকালে এলো কিউইদের ২৮১ রানের বিশাল সেই জয়। রানের হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটি তাদের বড় জয়। সার্বিকভাবে রানের হিসেবে জয়টি তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চও।

প্রথম টেস্টে প্রোটিয়াদের খর্বশক্তির দলটাকে হারিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়েও গেছে নিউজিল্যান্ড। ব্যবধান আরও বাড়ত যদি প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ডেভিড বেডিংহাম ৯৬ বলে ৮৭ রানের প্রতি আক্রমণ নির্ভর ইনিংসটি না খেলতেন। ৪ উইকেটে ১৭৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করা নিউজিল্যান্ড চতুর্থ দিন ম্যাচের আগে জানায় ইনিংস ঘোষণার কথা। সফরকারীদের সামনে ছুড়ে দেয় ৫২৯ রানের অসম্ভব লক্ষ্য।

প্রোটিয়া দল তার পর রানের পাহাড়েই পিষ্ট হয়েছে। বিশ মিনিটের মধ্যে স্বাগতিক বোলাররা দুই ওপেনার নেইল ব্র্যান্ড ও এডওয়ার্ড মুরকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন। শুরুর ধাক্কার পর কিউইদের পথে বাধা হওয়ার চেষ্টা করেন জুবায়ের হামজা (৩৬) ও রেইনার্ড ফন টন্ডার (৩১)। তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়ে ৬৩ রান যোগ করেন তারা।

লাঞ্চের পরই তাদের ওপর আঘাত হানেন কাইল জেমিসন। কিউই পেসার আউট করেন দুজনকেই। তার পর সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ান ডেভিড বেডিংহাম। তার প্রতিরোধ মাথাব্যথার কারণও হয়ে দাঁড়ায়। মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা ২৯ বছর বয়সি প্রথম শ্রেণির অভ্যস্ত ব্যাটিংটা দেখান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। তার ৮৭ রানের অসাধারণ ইনিংস চা বিরতি পর্যন্ত ৪ উইকেটে ১৭৩ রান পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায় সফরকারীদের।

বিরতির পর আবারও দেখা মেলে জেমিসন ঝলক। তৃতীয় সেশনের শুরুতে বেডিংহামকে শর্ট বলে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভাঙেন তিনি। টেস্ট স্পেশালিস্ট কেগান পিটারসেনও ১৬ রানে আউট হলে প্রতিরোধ দুর্বল হয়ে পড়ে। তারপরও লেজের দিকে হালকা প্রতিরোধে স্কোর আড়াইশ পর্যন্ত গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। স্কোরবোর্ডে রান তুলতে থাকা ড্যান প্যাটারসনকে (১৫) আউট করলে ২৪৭ রানে থামে প্রোটিয়াদের ইনিংস। ৫৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন কাইল জেমিসন। ৫৯ রানে ৩টি নিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার। একটি করে নিয়েছেন টিম সাউদি, ম্যাট হেনরি ও গেস্নন ফিলিপস।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে