লক্ষ্যটা ছিল প্রায় চারশ' রান। চতুর্থ ইনিংসে কাজটা যে কোনো উইকেটেই কঠিন। সেখানে উপমহাদেশের উইকেটে তো আরও কঠিন। সেই কঠিন সমীকরণে লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত বড় হার মানতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে। জাসপ্রিত বুমরাহ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অসাধারণ বোলিংয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত। বিশাখাপত্তমে সোমবার টেস্টের চতুর্থ দিনে এসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৬ রানে জিতেছে ভারত। ৩৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২৯২ রানে থেমেছে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস।
টেস্টের প্রথম তিন দিনই দাপট ছিল ভারতেরই। তৃতীয় দিনে তো বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে লাগাম হাতে তুলে নেয় তারা। সেই লক্ষ্য তাড়ায় আগের দিন অবশ্য শুরুটা ভালো করেছিল ইংলিশরা। ১ উইকেটে ৬৭ রান তুলেছিল দলটি। তবে এদিন স্কোরবোর্ডে আর ১৮ রান যোগ হতেই আঘাত হানে স্বাগতিকরা। রেহান আহমেদকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন অক্ষর প্যাটেল।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন জ্যাক ক্রলি। ৮৩ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরিও তুলে নেন তিনি। দলের একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি কি-না ইনিংস কিছুটা লম্বা করতে পেরেছেন। এছাড়া বাকি সব ব্যাটারই উইকেটে সেট হন, কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি কেউই। তারই খেসারত দেয় ইংলিশরা।
রেহানের মতো ব্যক্তিগত ২৩ রানে আউট হন অলি আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক পোপও। এরপর জো রুটকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় শিকার ধরেন অশ্বিন। ১৬ রান করেন সাবেক অধিনায়ক। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এ নিয়ে ৯৭টি উইকেট তুলে নেন অশ্বিন। ক্রিকেটের জনক দেশটির বিপক্ষে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এখন এই অফস্পিনার।
দলীয় ১৯৪ রানে জোড়া ধাক্কা খায় ইংলিশরা। শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা ক্রলিকে এলবিডাবিস্নউর ফাঁদে ফেলেন কুলদিপ যাদব। ১৩২ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭৩ রান করেন এই ওপেনার। এর রেশ না কাটতেই জনি বেয়ারস্টোকে এলবিডাবিস্নউর ফাঁদে ফেলেন বুমরাহ। ফলে বিপদে পড়ে যায় ইংলিশরা। সে বিপদ আরো বাড়ে অধিনায়ক বেন স্টোকসের রানআউটে। শ্রেয়াস আইয়ারের থ্রোতে আউট হওয়ার আগে ১১ রান করেন অধিনায়ক।