ভারতের দিলিস্নতে ৭ ফেব্রম্নয়ারি থেকে অনুষ্ঠিত হবে বিমসটেক জুনিয়র ওয়াটার স্পোর্টস প্রতিযোগিতা। এতে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে ১৯ জনের প্রতিনিধি দল সোমবার সকালে ভারতের দিলিস্নর উদ্দেশে রওনা হয়। দলটির কোচ হিসেবে সঙ্গে গিয়েছেন এসএ গেমসে রেকর্ডধারী স্বর্ণজয়ী সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা। কোচ হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা শিলা এবারই প্রথম দল নিয়ে দেশের বাইরে গিয়েছেন।
বিদেশের মাটিতে সাঁতারু শিলার পারফরম্যান্সে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বেজেছে একাধিকবার। এবার চেষ্টা করছেন কোচ হয়ে নেপথ্যে থেকে কাজ করার, 'অনেকবার বিদেশে গেলেও এবারের অনুভূতি ভিন্ন। কোচ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করব। খেলোয়াড় হিসেবে যেমন পদক জিতেছি, লক্ষ্য থাকবে কোচ হিসেবেও পদক জয়ের।'
বছর দুয়েক আগে খেলোয়াড় কাম কোচ ছিলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী সাঁতার দলের। এরপর খেলা পুরোপুরি ছেড়ে কোচ হন শিলা। নৌবাহিনী দলের পাশাপাশি জাতীয় সাঁতার দলে সহকারী কোচ হিসেবেও তিনি কাজ করছেন। ইতোমধ্যে দেশে-বিদেশে কয়েকটি কোচিং কোর্স করেছেন এই কৃতী সাঁতারু।
গ্যাস সমস্যার কারণে শীতে মিরপুর সুইমিং কমপেস্নক্সে গরম পানি ছিল না। এরপরও এই টুর্নামেন্ট সামনে রেখে প্রস্তুতি নিয়েছে সাঁতারুরা। বয়সভিত্তিক এই প্রতিযোগিতায় পদকের চেয়ে অংশগ্রহণ বড় হিসেবে দেখছেন শিলা, 'আরও একটু বেশি সময় পেলে ভালো হতো। তবে যতটুকু পেয়েছি, একেবারে কমও নয়। টাইমিংয়ে আমাদের সাঁতারুদের উন্নতি হবে। প্রতিযোগিতায় অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে পদক জয়ের, তবে জুনিয়র সাঁতারুরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করছে এটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।'
শিলার সঙ্গে গিয়েছেন তার স্বামী (আরেক স্বর্ণজয়ী সাঁতারু) শাহজাহান আলী রনি। তিনি টেকনিক্যাল অফিসিয়ালের দায়িত্ব পালন করবেন। শিলার সঙ্গে এই সফরে আছেন আরেক কোচ তরিকুল ইসলাম। তিনি ডাইভিং দলের কোচের দায়িত্বে। সাঁতার ফেডারেশনের সদস্য ও এই সফরে ডাইভিংয়ের টেকনিক্যাল অফিসিয়াল সালেহ আহমেদ বলেন, 'দীর্ঘদিন পর আমাদের ডাইভিং দল দেশের বাইরে গেল। আশা করছি ডাইভিংয়ে আমরা একটা ভালো কিছু অর্জনের।'
দেশের বাইরে এত বড় সংখ্যক সাঁতারু দল সাম্প্র্রতিক সময়ে আর যায়নি। বিমসটেক প্রতিযোগিতার সব ব্যয় আয়োজকরা বহন করছে। এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ নিয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ বলেন, 'প্রায় দুই মাস ধরে আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রথম এরকম আমন্ত্রণ আসে ভারত থেকে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ হয়ে আমরা অবগত হই। এরপর দল নির্বাচন ও নানা আনুষঙ্গিক কাজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করি। এরকম টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ বাংলাদেশ সাঁতারের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক দিক।'
আয়োজকরা সব খরচ বহন করলেও বাংলাদেশের সাঁতার ফেডারেশনের কয়েক লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে এই টুর্নামেন্ট নিয়ে।
