রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিদেশি তারকারা চলে যাওয়ায় রং হারাতে যাচ্ছে বিপিএল

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বিপিএল ছেড়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিদেশি তারকারা -ওয়েবসাইট

ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের বড় আকর্ষণ বিদেশি তারকা। বেশ কয়েকটি লিগের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বিদেশি ভালো মানের ক্রিকেটার পাওয়া নিয়েই ছিল শঙ্কা। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর পর বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানদের মতো ক্রিকেটারদের হাত ধরে কিছুটা জৌলুস ফিরেছিল বিপিএলে। জমে উঠার সঙ্গে সঙ্গে যেন আবার কিছুটা রং হারাতে যাচ্ছে বিপিএল।

এদিকে বাবরের মতো বিপিএল ছাড়ছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, খুশদিল শাহরাও। মূলত এনওসি শেষ হওয়ার কারণেই এবারের আসরে তাদের আর দেখা যাবে না।

কেউ জাতীয় দলের দায়িত্বে কেউবা ছাড়ছেন অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার কারণে। যেই তালিকায় আগেই বিপিএল ছেড়েছেন শাই হোপ, ওশানে থমাস, ফোর্ডরা। এবার বিপিএল ছাড়ছেন এখন পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা রংপুরের বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার।

এক এক করে বিপিএল ছাড়তে শুরু করেছেন পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা। পাক ক্রিকেটের দুই বড় নাম মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজম এরই মাঝে নিজ নিজ দলকে বিদায় জানিয়েছেন। দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার কথায় ফিরে যেতে হয়েছে তাদের। তাদের এই প্রস্থানে স্বাভাবিকভাবেই রং হারাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ।

তবে শুধু বাবর রিজওয়ানই না, একে একে সব পাকিস্তানি খেলোয়াড়ই নিজ দেশের ফ্লাইট ধরবেন। বিপিএলে থাকা ক্রিকেটারদের অনেকে অবশ্য ১৩ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবেন। পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের এমন প্রস্থান স্বাভাবিকভাবেই উসকে দিয়েছে প্রশ্ন। কেন পাক ক্রিকেটারদের সবাই ফিরে যাচ্ছেন নিজ নিজ দেশে।

কারণটাও অবশ্য কিছুটা স্পষ্ট। ১৭ তারিখ থেকে পাকিস্তানের নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগ পিএসএল শুরু হচ্ছে। ছয় দলের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশ নিতেই এমন অবস্থা। অবশ্য তার আগেও কিছুটা সময় হাতে আছে। সেই দিক বিবেচনা করেই অনেক পাকিস্তানি ক্রিকেটারই বোর্ডের কাছে নিজেদের এনওসি বা অনাপত্তিপত্রের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন।

কিন্তু ক্রিকেটারদের এই আবেদনে সাড়া দেয়নি পিসিবি। বিশেষ করে বর্তমান জাতীয় দলের সঙ্গে থাকা প্রায় সবারই এনওসি শেষ হচ্ছে চলতি সপ্তাহেই। বিপিএলে থাকা ক্রিকেটারদের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদেরও তাই ফিরে যেতে হচ্ছে নিজের দেশে।

এনওসির মেয়াদ বৃদ্ধির এমন আবেদন প্রত্যাখ্যানের পর জাতীয় দলের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ অনেক তারকাই অবশ্য হতাশ। এমনকি জাতীয় দলের সঙ্গে নেই এমন অনেককেও পিএসএল শুরুর বেশ আগেই ফিরতে হচ্ছে নিজেদের দেশে।

পাকিস্তানের এক ক্রিকেটার বলেন, 'যাদের ওয়ার্কলোড সমস্যা নেই, তাদের পিসিএল শুরুর আগে আরও বেশি সময় খেলতে দেওয়া উচিত ছিল। আবার শোয়েব মালিক বা ইমাদ ওয়াসিমের মতো অনেকেই বর্তমানে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের উপরেই পুরোপুরি নির্ভরশীল। পিসিবির এমন সিদ্ধান্তে চটেছেন এমন তারকারাও।

বর্তমানে দেশের বাইরে থাকা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বেশিরভাগের এনওসি মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৭ ফেব্রম্নয়ারি। বাকিদের মেয়াদ শেষ হবে ১৩ ফেব্রম্নয়ারি। কেবলমাত্র একজন খেলোয়াড় ১৬ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত খেলার অনুমতি পাচ্ছেন।

রংপুর দলের সিইও ইশতিয়াক সাদেক বলেন, 'আমরা বাবর আজমকে মিস করতে যাচ্ছি। সম্ভবত ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচটি তার শেষ ম্যাচ হতে চলছে। সে নিজেও চেষ্টা করছে ১০ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত এনওসি বাড়ানো যায় কি না। মনে হচ্ছে না সেটা হবে। আমরা নিশ্চিতভাবে তাকে মিস করতে যাচ্ছি।'

আরও বলেন, 'এই চার ক্রিকেটার যখন চলে যাবেন তখন তাদের শূন্যস্থান পূরণে নতুন চারজন আসবে। কিন্তু তাদের সময় দিতে হবে থিতু হওয়ার। তাই একটু উদ্বিগ্ন। ওদের চারজনের জুটিটা ঠিকঠাক হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। আবার ওই জায়গায় যেতে একটু সময় লাগবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে