রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে নতুন মুখের আভাস

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে নতুন মুখের আভাস

মার্চ উইন্ডোতে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দু'টি ম্যাচ রয়েছে। আসন্ন দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত প্রাথমিক দলে নতুন মুখ ডাকার একটা ইঙ্গিত দিয়েছেন জাতীয় দলের হেড কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। রোববার সকালে অনুষ্ঠিত জাতীয় দল কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন হেড কোচ ক্যাবরেরাও। জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ ব্রিফ করার পর কথা বলেছেন হেড কোচও।

২৪ ফেব্রম্নয়ারি লিগের প্রথম লেগ শেষ হওয়ার পরপরই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুই ম্যাচের জন্য প্রাথমিক দল ঘোষণা করবেন ক্যাবরেরা। সেই দল সম্পর্কে বলেন, 'চূড়ান্ত স্কোয়াড ২৩ জনের হলেও আমরা প্রাথমিক স্কোয়াড ২৬-২৮ জনের করতে পারি। সংখ্যাটি এখনো ঠিক করিনি।'

২৬-২৮ জনের মধ্যে কোনো নতুন মুখ থাকবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে ক্যাবরেরা বলেন, '২৬-২৮ জনের একটি স্কোয়াড হতে পারে। নতুন মুখ দেখার সম্ভাবনা আছে, সেটা তরুণদের মধ্যে থেকে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।'

নতুন মুখ প্রসঙ্গে তিনি খানিকটা বিশ্লেষণও করেছেন, 'এই দু'টি ম্যাচের বাইরেও আমাদের বছরে আরও অনেক খেলা থাকবে। সে খেলা তৈরির জন্য খেলোয়াড় প্রয়োজন। এখনো লিগের তিন রাউন্ড খেলা বাকি। অনেক কিছুই ঘটতে পারে।'

চলমান লিগে দেশি ফুটবলাররা গোল পাচ্ছেন। বিষয়টি বেশ ইতিবাচকভাবে দেখছেন কোচ হ্যাভিয়ের, 'এটা অবশ্যই ভালো দিক, দেশি ফুটবলাররা গোল পাচ্ছেন। সবার উপরই আমাদের নজর রয়েছে।'

কোচের মতো জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদও দেশি খেলোয়াড়দের ফর্মে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম দুই ম্যাচে এক পয়েন্ট পেয়েছে। লেবাননের চেয়ে ফিলিস্তিন আরও বেশি শক্তিশালী। এরপরও জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ ২৬ মার্চ হোম ম্যাচে পয়েন্টের আশা ব্যক্ত করেছেন। ২১ মার্চ কুয়েতে খেলে ২৬ মার্চ ঢাকায় পয়েন্ট পাওয়া কতটুকু চ্যালেঞ্জিং এমন প্রশ্নের উত্তরে কোচ হ্যাভিয়ের বলেন, 'ফিলিস্তিন অত্যন্ত ভালো দল। এশিয়া কাপে তারা দুর্দান্ত খেলেছে। এরপরও আমরা অবশ্যই পয়েন্টের জন্য লড়ব। সেই সামর্থ্য আমাদের রয়েছে।'

জাতীয় দলের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা শৃঙ্খলার বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর। সঠিক সময়ে ক্যাম্পে না আসায় জীবন তার বাতিলের খাতায়। মদকান্ডে জাতীয় দলে ডাক পাননি কয়েকজন। মাঠের বাইরে এত শৃঙ্খল কোচের অধীনে ফুটবলাররা মাঠে অশৃঙ্খল আচরণের জন্য কার্ড দেখছে প্রতিনিয়ত। যার প্রভাব পড়ছে ম্যাচের পরিকল্পনায়। এই প্রসঙ্গে কোচ বলেন, 'প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে অনেক সময় ফুটবলারদের আচরণ এমন হতে পারে। এরপরও এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।'

বাংলাদেশ ফুটবল দলের অন্যতম সেরা পারফরমার ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক কাজী। জাতীয় দলের আর্মব্যান্ডও একজন প্রবাসী ফুটবলারের হাতে। জাতীয় দলে নতুন প্রবাসীদের সুযোগ প্রসঙ্গে কোচ বলেন, 'সবার জন্যই আমাদের দ্বার উন্মুক্ত। এই মুহূর্তে (বিশ্বকাপ বাছাই) এমন কোনো সুযোগ দেখছি না।'

জাতীয় ফুটবল দলে কিট স্পন্সর হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল আন্তর্জাতিক এক প্রতিষ্ঠান। এই বিষয়ে বাফুফে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।

মার্চ উইন্ডোতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের দু'টি ম্যাচ রয়েছে। পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুযায়ী ২১ মার্চ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে হোম এবং ২৬ মার্চ অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। সেই সূচিতে পরিবর্তন হয়ে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে আগে অ্যাওয়ে খেলে পরবর্তীতে হোম ম্যাচ খেলবে।

যুদ্ধ-বিধ্বস্ততার কারণে ফিলিস্তিন হোম ম্যাচ অন্য দেশে খেলে থাকে। ২১ মার্চ বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে কুয়েতে ম্যাচ আয়োজন করেছে। এই ম্যাচের জন্য সৌদি আরবে দুই সপ্তাহের ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ। সৌদি আরব থেকে কুয়েত নিকটবর্তী হওয়ায় বাংলাদেশ আগে হোমের পরবর্তী অ্যাওয়ে খেলতে রাজি হয়েছে।

কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, 'ফিলিস্তিনের অনুরোধ ও আমাদের সুবিধার্থে আগে অ্যাওয়ে এবং পরবর্তীতে হোম ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।'

ফিলিস্তিনের সঙ্গে হোম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২৬ মার্চ ঢাকায়। স্বাধীনতা দিবস ও রমজানের মধ্যে ম্যাচটি পড়ায় খেলার সময় এগিয়ে এনেছে বাফুফে, 'আমরা ম্যাচটি বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু করব। যাতে দর্শকরা খেলা দেখে বাসায় গিয়ে ইফতারে অংশগ্রহণ করতে পারে'- বলেন জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান।

তিনি আরও বলেন, '২ মার্চ সৌদি আরব যাবে বাংলাদেশ দল। সেখানে আল তাঈফ শহরে ক্যাম্প করবে ও কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে। সেখান থেকে ১৭ মার্চ কুয়েত রওনা হবে। ২১ মার্চ ম্যাচ খেলে দেশে ফিরে হোম ম্যাচের প্রস্তুতি নেবে।'

বাংলাদেশ এর আগেও সৌদিতে ক্যাম্প করেছে। তখন আঞ্চলিক দলের সঙ্গে অনুশীলন ম্যাচ খেলেছে। এবার এই বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি তবে ম্যাচ খেলানোর চেষ্টা করছে ফেডারেশন। সৌদি ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে বাফুফের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্কের ভিত্তিতে সৌদিতে থাকাকালীন ব্যয়সমূহ সৌদি ফুটবল ফেডারেশনই বহন করবে। বাফুফেকে শুধু যাতায়াত ব্যয় নির্বাহ করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে