শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

জয়ে ফিরেছে ঢাকা আবাহনী

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
জয়ে ফিরেছে ঢাকা আবাহনী

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের ষষ্ঠ রাউন্ড মাঠে গড়িয়েছে শুক্রবার থেকে। এদিন দু'টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে ঢাকা আবাহনী ২-১ গোলে হারায় পুলিশ ফুটবল ক্লাবকে। এই জয়ে ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট অর্জন করল আবাহনী। সেই সঙ্গে পুলিশকে পেছনে ফেলে চতুর্থ স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে উঠে আসল তারা। অন্যদিকে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের সঙ্গে গোলশূন্য (০-০) ড্র করে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি।

রাসেল-রহমতগঞ্জের লড়াইয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে দুই দলই। অসংখ্য গোলের সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত মিলেনি কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা। ম্যাচের ৮ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে শাহীনের লম্বা থ্রো বক্সে পেয়ে হেড নিয়েছিলেন রাসেলের মিডফিল্ডার ইকবাল। তবে তার হেডটি খুব বেশি জোরালো না হওয়াতে বড় কোনো পরীক্ষাতে পড়তে হয়নি রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক মো. নাঈমকে। ১৫ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে দ্বীপক রয়ের ক্রস বক্সে পেয়েও ঠিকভাবে হেড নিতে ব্যর্থ হন ইকবাল। ১৭ মিনিটে রহমতগঞ্জের বক্সে বল পাঠান ইমন বাবু। বিপদ হতে পারে আঁচ করে পোস্ট ছেড়ে সামনে এগিয়ে এসে বলের কন্ট্রোল নেন নাঈম। পরের মিনিটেই বক্সের বেশ কাছেই বা প্রান্তে ফ্রি কিক পায় রহমতগঞ্জ। সুশান্ত ত্রিপুরার ক্রস ফিস্ট করেন মিতুল। বক্সের বাইরে থেকে দাউদা সিসের বাড়ানো বল পেয়ে সতীর্থ ফুটবলার হেডে সামনে বাড়ান। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের বাধার মুখেও তিনবার শট নেন আল-আমীন। তবে বল জালে পাঠাতে পারেননি। চতুর্থ চেষ্টা ছিল রহমতগঞ্জের স্যামুয়েল কোনের। তিনিও ব্যর্থ হন। প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য।

দ্বিতীয়ার্ধেও একই রকম ফুটবল খেলেছে দু'দল। তবে ম্যাচের শেষ দিকে গোল পেতে মরিয়া শেখ রাসেল বেশি আক্রমণাত্মক খেলেছে। ৬৫ মিনিটে ইনডাইরেক্ট ফ্রি কিক পায় রহমতগঞ্জ। স্যামুয়েলের স্পট কিক গ্রিপ করেন রাসেলের গোলরক্ষক মিতুল মার্মা। ৬৭ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে দাউদা সিসে দারুণ একটা ক্রস বাড়িয়েছিলেন। তবে তাতে কানেক্ট করতে ব্যর্থ হন পুলাতভ। পরের মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ইকবালের কোনাকোনি শট অল্পের জন্য জড়ায়নি রহমতগঞ্জের জালে। ৭২ মিনিটে আরেকটি সুযোগ এসেছিল শেখ রাসেলের। ডান প্রান্ত থেকে দ্বীপক রয়ের ক্রসে বলে কানেক্ট করতে পারেননি ইমন বাবু। ৭৫ মিনিটে ইকবালের হেড ছিল নিশ্চিত গোল। তবে বল গ্রিপ করে সেটি হতে দেননি রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক। শেষ পর্যন্ত কাটেনি গোলখরা। তাই গোলশূন্য (০-০) ড্র'তেই শেষ হয়েছে এই দুই দলের লড়াই।

একই দিনে ময়মনসিংহে ঢাকা আবাহনীর মুখোমুখি হয় পুলিশ ফুটবল ক্লাব। ৫ম রাউন্ডে এই দুই দলেরই ছিল ৭ পয়েন্ট। তবে গোল গড়ে পিছিয়ে থাকায় আবাহনী ছিল চতুর্থ স্থানে। যেখানে পুলিশ ফুটবল ক্লাব ছিল তাদের এক ধাপ ওপরে। ষষ্ঠ রাউন্ডে এসে তাই এই দুই দলের লড়াইটা দারুণ জমে উঠে। পুলিশের সুযোগ ছিল টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে যাবার। যদিও নামে ভারে পুলিশ ফুটবল ক্লাব থেকে অনেক এগিয়ে আবাহনী। তবে কয়েক মৌসুম ধরে পুলিশ ফুটবল ক্লাবও বেশ ভালো করছে লিগে। শুক্রবার ম্যাচ শুরুর ১২ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার জনাথন ফার্নান্দেজের গোলে লিড নেয় ঢাকা আবাহনী (১-০)। ৫১ মিনিটে ওয়াশিংটন বান্দ্রাওয়ের জোগান দেওয়া বলে মিডফিল্ডার মো. হৃদয়ের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আকাশি-নীলরা (২-০)। ৬৫ মিনিটে উপহারের গোলে ব্যবধান কমায় পুলিশ। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন আবাহনীর ডিফেন্ডার মো. আসাদুজ্জামান বাবলু (আত্মঘাতী ২-১)। তবে এরপর ব্যবধানটা আর বাড়াতে পারেনি পুলিশ। আবাহনীও আর কোনো গোল করতে পারেনি। তাই ২-১ গোলের জয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ঐতিহ্যবাহীদের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে