আফ্রিকান নেশন্স কাপ থেকে আগেই বিদায় নিয়েছে মোহাম্মদ সালাহ ও সাদিও মানের দল মিশর ও সেনেগাল। এবার আরও একটি অঘটনের স্বীকার হয়ে আসর থেকে বিদায় নিল আশরাফ হাকিমির দল মরক্কো। মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে আফ্রিকান নেশন্স কাপের আসর থেকে ছিটকে গেছে হাকিমির মরক্কো। অপরদিকে শেষ ষোলো পর্বের খেলায় জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে মালিরও। তারা বুরকিনা ফাসোকে ২-১ গোলে হারিয়েছে।
কাতার বিশ্বকাপে চমক দেখিয়ে ফুটবল বিশ্বের নজরে আসে মরক্কো। আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গিয়েছিল দেশটি। অথচ গতকাল আইভরি কোস্টের সান পেদ্রোর লরেট পোকো স্টেডিয়ামে অঘটনের ম্যাচে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে আসরের অন্যতম ফেবারিট দল মরক্কোকে। এদিন ম্যাচের ৫৭ মিনিটে প্রথম গোল হজম করে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে যায় মরক্কো। তবে ৮৩ মিনিটে সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পায় তারা। ডি-বক্সের ভেতরে আফ্রিকার খেলোয়াড় মাথবি এমবালার হ্যান্ডবল হলে পেনাল্টি পায় মরক্কো। তবে দারুণ সুযোগটি মিস করে বসেন মরক্কোর ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি। তার শট করা বলটি ক্রসবার থেকে ফিরে আসে। এতে হতাশায় ডোবেন মরক্কোর সমর্থকরা।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের চতুর্থ মিনিটে সফিয়ান আমরাবাত লালকার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় মরক্কো। ফলে গোল করা সহজ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য। সে সুযোগ কাজে লাগাতে দেরিও করেনি তারা। ১ মিনিট পরই গোল করে ব্যবধান ২-০ করে নিজেদের জয় নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও ৮৪ মিনিটে মরক্কোর সুযোগ ছিল সমতা ফেরানোর। দুর্ভাগ্য পেনাল্টি পেয়েও তারকা ডিফেন্ডার আশরাফি হাকিমির স্পট কিক আঘাত করে ক্রসবারে।
তারপর অনাকাঙ্ক্ষিত ফাউলের ঘটনায় গোল পেয়ে ২-০ গোলের জয় নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে যোগ হওয়া সময়ে মোকেয়ানার ওপর ফাউল করেন মরক্কোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ডিফেন্ডার সোফয়ান আর্মব্যাট। ভার রিভিউর পর সরাসরি লালকার্ড দেখে মাঠও ছাড়েন তিনি। তাতে দশজনের দলে পরিণত হয় মরক্কো। তারপর ফ্রি কিক থেকে সেটপিস স্পেশালিস্ট মোকেয়ানার শট জাল কাঁপায় মরক্কোর।
আর খেলা শেষে মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই আক্ষেপের সুরে বলেন, 'আমরা হয়তো প্রথমার্ধে খেলাটি নিষ্পত্তি করতে পারতাম। এই পর্যায়ে (আসরের) আপনি যে কোনো সুযোগ নষ্ট করার জন্য অবিলম্বে শাস্তি পেতে পারেন। পেনাল্টি (মিস) আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে। আমাদের যা কিছু করার দরকার ছিল, আমরা সেগুলো করতে পারিনি। আমিই এর সম্পূর্ণ দায় নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি।'