শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে ফুটবল কোচের রদবদল হয়েছে। পারিবারিক কারণে মেসিডোনিয়ান কোচ মার্জান সেকুলোভস্কি ঢাকা ছেড়েছিলেন। তার অবর্তমানে সাইফুর রহমান মনি ট্রেইনার ফ্রান্সিসকোর সঙ্গে আলোচনা করে সহকারী কোচের কাজ শুরু করেছিলেন। মনির কোচিংয়ে শেখ জামাল গত সপ্তাহে দুটি ম্যাচ জিতেছে। মেসোডেনিয়ান কোচের আর দায়িত্ব নেয়া সম্ভব নয় বিধায় জুলফিকার মাহমুদ মিন্টুকে হেড কোচ করেছে শেখ জামাল। মিন্টু যোগ দেয়ার দিনে দায়িত্ব ছেড়েছেন সাইফুর রহমান মনি।
জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু গত মৌসুমে শেখ রাসেলের হেড কোচ ছিলেন। শেখ রাসেল ক্লাব বিদেশি কোচকে দায়িত্ব দেয়ার পরিকল্পনা করায় মিন্টুর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন হয়নি। এই মৌসুমে তিনি কোনো ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। লিগের মাঝপথে এসে দায়িত্ব পেলেন। এর আগে তিনি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেছেন।
মিন্টুর সঙ্গে সোমবার ক্লাবের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তিনি অনুশীলনও করিয়েছেন। নতুন ক্লাবে যোগ দেওয়া নিয়ে মিন্টু এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেননি।
মিন্টু যোগদান পরবর্তী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করলেও সাইফুর রহমান মনি দায়িত্ব ছাড়ার কারণ স্পষ্ট করে বলেন, 'আমাকে যখন দায়িত্ব দেওয়া হয় তখন বলা হয়েছিল বিদেশি কোচই হেড কোচ থাকবে। তাই সহকারী কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। এখন দেশি কোচকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ক্লাব কমিটমেন্ট রক্ষা না করায় দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি।'
মনির অভিযোগের প্রেক্ষিতে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি। তারা পারিপার্শ্বিক বিবেচনায় দেশি একজনকে দায়িত্ব দিতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ বর্তমান বিদেশি কোচ আকস্মিক মানা করায় দ্রম্নত সময়ের মধ্যে নতুন বিদেশি কোচ আনা কষ্টসাধ্য তাই দেশিদের মধ্যে অভিজ্ঞ একজনকে বেছে নিয়েছে শেখ জামাল।
উজবেকিস্তানের ফুটবলার ওতাবেকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফিফা শেখ জামালের দলবদলের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ওতাবেকের কাছে চিঠি থাকলেও ফুটবল ফেডারেশন ও শেখ জামাল ক্লাবে এই সংক্রান্ত কিছু নেই। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ওতাবেকের সঙ্গে তাদের সকল তথ্য-উপাত্ত নিয়ে ফিফায় চিঠি দিয়েছে।