বিশ্বকাপ খেলা ৮ জনকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার
প্রকাশ | ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া ডেস্ক
লন্ডন শহরের স্থানীয় হোটেলে এক তরুণীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ, নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তার হতে পারেন হকি বিশ্বকাপ খেলা কানাডার আট খেলোয়াড়। চাঞ্চল্যকর এই মামলায় যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন তারা। খরব গেস্নাব অ্যান্ড মেলের।
সংবাদমাধ্যমটির বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে কানাডার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিবিসি নিউজ। প্রতিবেদনে বলা হয়, খেলোয়াড়দের আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ কানাডার অন্টারিও প্রদেশের লন্ডন শহরের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে গোপনীয় এই মামলার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায় লন্ডন পুলিশ। তারা জানিয়েছে, তদন্তের বিষয়ে আগামী ৫ ফেব্রম্নয়ারি সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২০১৮ ওয়ার্ল্ড জুনিয়র (অনূর্ধ্ব-১৮) দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় এই সপ্তাহে ন্যাশনাল হকি লিগ (এনএইচএল) এবং ইউরোপীয় টিম থেকে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে আবেদন জানিয়েছেন এবং তা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে কারা আবেদন জানিয়েছেন তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে সাবেক ক্রাউন প্রসিকিউটর নিক কেক বলেন, এসব খেলোয়াড়কে অন্য সাধারণ অপরাধীর মতোই গ্রেপ্তার করা হবে। এর আগে, তারা যদি সেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে তবে তার ভালো হবে। তা না হলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে।
ই.এম নামের পরিচিত ওই তরুণী লন্ডন পুলিশকে জানিয়েছে, তিনি হকি কানাডা ফাউন্ডেশন গালা এবং গল্ফ ইভেন্টের সময় ২০১৮ সালে লন্ডনের একটি হোটেল কক্ষে জুনিয়র হকি খেলোয়াড়দের দলবদ্ধ যৌন নিপীড়নের শিকার হন। ওইসময় তার ২০ বছর ছিল।
তিনি অভিযোগ করেন, 'লন্ডনের একটি স্থানীয় বারে এই দলের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। যেখানে তারা মদ্যপান করেছিলেন। তারপর তিনি তাদের হোটেলে যান এবং ওই খেলোয়াড়ের সঙ্গে যৌন মিলন করেন। কিন্তু এক পর্যায়ে ওই খেলোয়াড়ের পাশের কক্ষ থেকে তার দলের সাত খেলোয়াড়কে নিয়ে আসেন। তারা সবাই তার সঙ্গে জোরপূর্বক যৌন মিলন করেন। এ সময় তাদের কয়েকজনের হাতে হকিস্টিক ছিল। এতে করে আমি নিজের প্রাণ বাঁচাতে কোনো রকম বাধা দেইনি।'