বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের শনিবার দু'টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই ম্যাচই হয়েছে গোলশূন্য ড্র। লিগের পঞ্চম রাউন্ডের খেলায় শনিবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ফর্টিস এফসির সঙ্গে গোলশূন্য (০-০) ড্র করে শেখ রাসেল। অন্যদিকে মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে পুলিশ ফুটবল ক্লাবের মুখোমুখি হয় রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ পেয়েও জয় আদায় করে নিতে পারেনি পুলিশ। ওই ম্যাচটিও শেষ হয়েছে গোলশূন্য (০-০) ড্র'তে। তবে এই ড্র'তে ১ পয়েন্ট পেয়ে ঢাকা আবাহনীকে পেছনে ফেলে তৃতীয় স্থানে উঠে আসল পুলিশ।
সময়টা ভালো যাচ্ছে না ট্রেবলজয়ীখ্যাত শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের। এবারের প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছে না দলটি। ৫টি ম্যাচ খেলে মাত্র একটি জয়! শেখ রাসেলের মতো দলের জন্য সেটা বড় অপ্রাপ্তিই বটে। যদিও প্রিমিয়ার লিগে তাদের শুরুটা শেখ জামালের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়েই হয়েছিল। সেই জামাল এখন টেবিলের সেরা পাঁচে। আর রাসেল আছে নিচের সারির দলের সঙ্গে (৮ম)। কারণ ওই ম্যাচটির পর আর একটি ম্যাচেও জিততে পারেনি রাসেল। দ্বিতীয় ম্যাচে মোহামেডানের সঙ্গে ১-১ গোলের ড্র করলেও পর পর দুই ম্যাচে হেরে যায় তারা। শনিবার আবারও শেখ রাসেল ড্র করল ফর্টিস এফসির সঙ্গে। পুরো ম্যাচ জুড়ে দুই দল খুব বেশি গোলের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। তবে রাসেলের তুলনায় ফর্টিস আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। ৮ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে ফর্টিস অধিনায়ক গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড পা ওমর বাবুর ক্রসে বল পেয়ে হেড নিয়েছিলেন সবুজ হোসেন। তবে অল্পের জন্য রাসেলের জাল কাঁপাতে ব্যর্থ হন এই ডিফেন্ডার। এর ঠিক দু'মিনিট পর একটি কর্নার আদায় করে নেয় ফর্টিস। ডান প্রান্ত থেকে পা ওমর বাবুর কর্নার ফিস্ট করেন গোলরক্ষক মিতুল মার্মা। ফিরতি বলে পা ওমর বাবু সতীর্থকে পাস দিলে উজবেকিস্তানের ডিফেন্ডার যশোর জোনায়েভের শট বা পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ১৪ মিনিটে সুযোগ এসেছিল রাসেলেরও। প্রায় মাঝ মাঠ থেকে চন্দনের ক্রসে হেড নিয়েছিলেন মিডফিল্ডার ইকবাল হোসেন। তবে বল প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে মাঠের বাইরে চলে যায়। কর্নার পায় শেখ রাসেল। ইকবালের কর্নার বক্সে ক্লিয়ার হয়। ২৭ মিনিটে পা ওমর বাবুর জোড়ালো শট চলে যায় বার ছুঁয়ে। তবে প্রতিপক্ষ ফুটবলারের গায়ে লাগার কারণে কর্নার পেয়ে যায় ফর্টিস। ডান প্রান্ত থেকে পা ওমর বাবুর কর্নার বক্সে পড়লেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তার সতীর্থরা। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ড্র'তে। দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দল খেলেছে সাদা-মাটা ফুটবল। তাই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মিলেনি। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে দু'টি কর্নার পায় ফর্টিস। কিন্তু গোল আদায় করতে পারেনি তারা। ইনজুরি টাইমে (৯০+১ মিনিটে) সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি রাসেলের ফরোয়ার্ড সুমন রেজা। শেষ মুহূর্তে (৯০+৬ মিনিটে) ভালো একটি সুযোগ এসেছিল রাসেলের। পেনাল্টি এরিয়ার কাছেই ফ্রি কিক পায় তারা। সুমনের স্পট কিক চলে যায় মাঠের বাইরে। গোলশূন্য (০-০) ড্রতেই শেষ হয় রাসেল-ফর্টিস লড়াই।