দেশের সুনাম রাখার প্রত্যাশা সানজিদার

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকারের পর তৃতীয় নারী ফুটবলার হিসেবে ভারতের ঘরোয়া লিগে খেলতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের রাইট উইঙ্গার সানজিদা আক্তার। তার নতুন ক্লাব ইস্টবেঙ্গল। বুধবার বিকালে কলকাতার বিমান ধরেছেন ময়মনসিংহের কলসিন্দুরের এ যুবতী। ১৬ জানুয়ারি ভারতের ভিসার আবেদন করে মঙ্গলবার পাসপোর্ট পেয়েছেন। টানা ৮ দিন অনিশ্চয়তায় থাকার পর মুখে হাসি ফুটেছে সানজিদার। স্বপ্নপূরণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে স্বস্তির নিশ্বাস তার। এমন একটি ক্লাবের জার্সিতে দেশের বাইরের ঘরোয়া ফুটবলে অভিষেক হচ্ছে সানজিদার, সেই ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ফুটবলের মধুর স্মৃতি। ১৯৯১ সালে এই ক্লাবে খেলেছিলেন মোনেম মুন্না, শেখ মোহাম্মদ আসলাম, গোলাম গাউস ও রুমী রিজভী করিমরা। সুনাম কুড়িয়েছিলেন তারা, চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন ইস্টবেঙ্গলকে। মোনেম মুন্না তো ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের ফুটবলপ্রেমীদের মুখে এখনো শোনা যায় মুন্নার প্রশংসা। সেই ক্লাবে সানজিদার অভিষেক হলে বাংলাদেশের ফুটবলে তৈরি হবে নতুন ইতিহাস। উপমহাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাবে খেলায় বাংলাদেশের প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে সানজিদার নাম লেখা হয়ে যাবে স্বর্ণাক্ষরে। কলকাতা রওনা হওয়ার আগে নতুন এই মিশন নিয়ে সানজিদা আক্তার জানিয়েছেন তার প্রত্যাশার কথা, 'আমি অনেক খুশি। আসলে অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। দেশের বাইরে খেলাটা স্বপ্নের মতো ছিল। তা পূরণ হতে যাচ্ছে।' ভারতে এবারই প্রথম যাওয়া হলেও এর আগেও ভারতের লিগে খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন সানজিদা। সেটি ২০২২ সালে। তবে দেশের স্বার্থে তখন ওই লিগে খেলা হয়নি এই ফুটবলারের। এ প্রসঙ্গে সানজিদা বলেন, '২০২২ সালে কুইন এফসি ক্লাব থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলাম। তখন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি হিসেবে বাফুফে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ঢাকায় দুটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ আয়োজন করেছিল। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ সামনে থাকায় বাফুফে তখন ভারতের লিগে খেলতে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। তাই যাওয়া হয়নি।' ইস্টবেঙ্গলের মতো জনপ্রিয় একটি ক্লাবে খেলতে পেরে রোমাঞ্চিত সানজিদা। জানালেন তার লক্ষ্য থাকবে দেশের সুনাম করার, 'ইস্টবেঙ্গল একটি জনপ্রিয় ক্লাব। এই ক্লাবে অনেক আগে ফুটবল খেলে সুনাম অর্জন করেছেন মোনেম মুন্না, শেখ মোহাম্মদ আসলাম, গোলাম গাউস ও রুমী রিজভী করিমরা। তারা ইতিহাস গড়েছিলেন। আমি সেই ক্লাবে বাংলাদেশের প্রথম নারী ফুটবলার, আমিও ইতিহাস গড়তে যাচ্ছি। আমি দলের জন্য যেমন গোল করতে চাইব তেমন সতীর্থদের দিয়ে গোল করানোর চেষ্টা করব। আসলে আমি ওই ক্লাবে যাচ্ছি বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে। দেশের সুনাম যাতে হয়, সে প্রচেষ্টাই থাকবে।'