কুমিলস্না সঠিক পরিকল্পনায় এগোচ্ছে :ইমরুল

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

কুমিলস্না সঠিক পরিকল্পনায় এগোচ্ছে :ইমরুল ক্রীড়া প্রতিবেদক
কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ন্সের সাবেক অধিনায়ক ইমরুল কায়েস
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবচেয়ে সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্স। দেশের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টটির গত ৯ আসরে চারটি ট্র্রফি জিতেছে তারা। এই চারটি ট্রফির মধ্যে তিনটি ট্রফি এসেছে ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে। দশম আসরে এসে কুমিলস্নার লাকি ক্যাপ্টেন বদলে গেছে। নেতৃত্বের ভার এখন উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন দাসের কাঁধে। কুমিলস্নার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং লিটনের নেতৃত্ব গুণের প্রশংসা করে তিন-তিনটি ট্রফি জয়ের অধিনায়ক ইমরুল নিজেকে এখন মুক্ত ভাবছেন। সোমবার অনুশীলনের পর নিজের নেতৃত্বে না থাকা নিয়ে কুমিলস্নার সাবেক অধিনায়ক ইমরুল বলেন, '(অধিনায়ক না থাকলে) মাঠের ভেতরে তো একটু ফ্রি থাকা যায়, কারণ এত পরিকল্পনা করতে হয় না। লিটন সবকিছু দেখে। ওদিক থেকে তো একটু ফ্রি থাকা যায়।' প্রথম ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করার পরও তার ওপেনার হিসেবে খেলা অনিশ্চিত। মোহাম্মদ রিজওয়ান এলে কারা হবেন কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্সের ওপেনার, এমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পরই আসে ত্যাগের প্রসঙ্গ, 'এত ত্যাগ করতে ভালো লাগে?' উত্তরে ইমরুল কায়েস বলেন, 'নাহ, ঠিক আছে!' বিপিএলে কুমিলস্নার সঙ্গে একরকম সমার্থকই হয়ে গেছেন ইমরুল। এমনিতে বিপিএলে অধিনায়কত্ব ছাড়া কখনওই সুখকর নয়। নানা আলোচনা আর বিতর্কের পর নেতৃত্ব হাতবদল হয়। মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবালের মতো ক্রিকেটাররাও এর থেকে বাদ যাননি। কুমিলস্নার নেতৃত্ব ছাড়ার সময় ইমরুলের সঙ্গে আলাপ কেমন ছিল? তিনি বলেন, 'স্বাভাবিক, খুবই স্বাভাবিক। কোনো প্রতিক্রিয়াই ছিল না। এখানে কী অর্জন করেছি মেটার করে না। কী হচ্ছে বা কী হবে, দলের জন্য ভালো কী হবে; এটাই সবচেয়ে বড় জিনিস। আমার মনে হয় কুমিলস্না সঠিক একটা পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। আগামী পাঁচ-ছয় বছর কাকে দিয়ে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া যাবে, তারা ওই পরিকল্পনাতে এগোচ্ছে। আমার মনে হয় এই সংস্কৃতিটা ভালো।' অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক হিসেবে লিটন বাংলাদেশ জাতীয় দলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিশ্বকাপের আগে ছিলেন অধিনায়কও। এসব টেনে লিটনকে অধিনায়ক হিসেবে সব দিক থেকে নিখুঁত মনে হচ্ছে ইমরুলের কাছে। পাশাপাশি কুমিলস্না যে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে লিটনকে অধিনায়ক করায় সাধুবাদও জানান তিনি, 'লিটন দাস তো সবসময় টপ খেলোয়াড়। আপনি দেখছেন ও সম্প্রতি বাংলাদেশের হয়ে যে সিরিজগুলোতে অধিনায়কত্ব করেছে। ও ওর কাজগুলো খুব ভালোভাবে সামলেছে। আমার মনে হয় লিটনের মাথা এবং সবকিছু ভালো; ও খুব ভালোভাবে সামলাতে পারে। এই দলেও আমি আশা করি, ভালো করতে পারবে।' অধিনায়ক থাকার সময় ইমরুলকে নানা ব্যাটিং পজিশনে খেলতে হয়েছে। করতে হয়েছে অনেকরকম ত্যাগও। বিপিএলে এবার প্রথম ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি করে দারুণ শুরু পেয়েছেন। নেতৃত্বের ভার না থাকায় কি চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারছেন? ইমরুলের উত্তর, 'অধিনায়ক থাকলে অনেক কিছু মেটার করে। দলে ভূমিকাটা আমার আলাদা থাকে। একেকদিন একেক রকম ভূমিকা পালন করতে হয়। এখনো আমি চেষ্টা করব একইভাবে।' বয়স প্রায় ৩৭ বছর হয়ে গেছে। এখনো প্রায়ই জাতীয় দল নিয়ে আক্ষেপ ঝরে ইমরুলের কণ্ঠে। জাতীয় দলে খেলার স্বপ্নটা ভালোভাবেই জিইয়ে রেখেছেন বলেই জানালেন ইমরুল, 'স্বপ্ন তো ভাই যতদিন খেলি ততদিন দেখি। জাতীয় দল একটা আলাদা জায়গা। এখানে খেলাটা অনেক বড় সম্মানের, আমি মনে করি। যতদিন খেলব চেষ্টা করব, ওটা মাথায় রেখে... যদি ওটা মাথায় না থাকে, ওই খেলাটার মানে হয় না। আমার মনে হয় সবারই ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে থাকে জাতীয় দল।'