বিপিএলের দশম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেছেন দুর্দান্ত ঢাকার শরিফুল ইসলাম। এটা বিপিএল ইতিহাসে সপ্তম হ্যাটট্রিক। ২০১২ সালে পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ সামি ঢাকা গস্ন্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে বিপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক করেন। দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে পরপর তিন বলে সাজঘরে ফেরান ড্যারেন স্টিভেনস, আফতাব আহমেদ ও রানা নাভেদুল হাসানকে।
উদ্বোধনী দিনের প্রথম ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে এ কৃতিত্ব দেখান গত বছর জাতীয় দলের হয়ে সফল একটি বছর কাটানো শরিফুল। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন আলিস ইসলাম।
শুক্রবার ২০তম ওভারে হ্যাটট্রিক করেন শরিফুল। কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্সের ইনিংসের শেষ তিন বলে ৩ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ওই ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে খুশদিল শাহর কাছে ছক্কা হজম করেন শরিফুল। পরের বলেই পাকিস্তানি ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠান এ পেসার। পরের দুই বলে রোস্টন চেজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের উইকেট নেন তিনি।
প্রথম বোলার হিসেবে বিপিএলে হ্যাটট্রিক করেছিলেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ সামি। প্রথম মৌসুমেই ঢাকা গস্ন্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে টানা তিন বলে তিন উইকেট নেন দুর্দান্ত রাজশাহীর এই বোলার। তার শিকারে পরিণত হন ড্যারেন সামি, আফতাব আহমেদ ও নাভিন উল হাসান।
২০১৫ সালে সিলেট সুপার স্টার্সের বিপক্ষে বরিশাল বুলসের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন আল আমিন হোসেন। তিনি শিকার করেন রবি বোপারা, নুরুল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের উইকেট। আলিস ইসলাম ২০১৯ সালে অভিষেক ম্যাচেই মোহাম্মদ মিঠুন, মাশরাফি বিন মর্তুজা ও ফরহাদ রেজার উইকেট পান।
২০১৯ সালের আসরে আলিসেরটি বাদেও আরও ২টি হ্যাটট্রিক হয়। এরমধ্যে কুমিলস্নার ওয়াহাব রিয়াজ খুলনার ডেভিড ভিসে, তাইজুল ইসলাম ও সাদ্দাম তামিমের উইকেট শিকার করেন। ঢাকা ডায়নামাইটসের আন্দ্রে রাসেল চট্টগ্রাম ভাইকিংসের বিপক্ষে মুশফিকুর রহিম, ক্যামেরন ডেলপোর্ট ও দাসুন শানাকার উইকেট পান।
২০২২ সালে ষষ্ঠ হ্যাটট্রিকটি করেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মৃতু্যঞ্জয় চৌধুরী। তিনি টানা তিন বলে নেন এনামুল হক বিজয়, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও রবি বোপারার উইকেট।