ঢাকাকে ছোট করে দেখছেন না অধিনায়ক লিটন

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সঙ্গে অধিনায়ক লিটন দাস -সংগৃহীত
বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল কুমিলস্না। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ চারবার ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে তারা। কাগজে-কলমে বিপিএলের দশম আসরে সবচেয়ে শক্তিশালী দলই গঠন করেছে তারা। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দলও তারা। গোমতীপাড়ের দলটি শিরোপা জয় করেছে মোট চারবার। গত দুবারই শিরোপা গিয়েছে কুমিলস্নার ঘরে। অবশ্য সে দুইবার অধিনায়কের ব্যাট ছিল ইমরুল কায়েসের হাতে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরে ইমরুল কায়েসকে আর নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে না। তার পরিবর্তে ওপেনার লিটন দাসকে নেতৃত্বভার দিয়েছে কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্স কর্তৃপক্ষ। নতুন এই অধিনায়ক জানালেন নিজের অনুভূতির কথা, 'যেহেতু এখন কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলছি। তারা আমাকে এই সুযোগটা দিয়েছে অধিনায়কত্ব করার। তাদের ধন্যবাদ, অবশ্যই আমার চিন্তা এখন সম্পূর্ণ কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্স নিয়ে। আর অবশ্যই আমি চেষ্টা করব আমার শতভাগ দেওয়ার। যে পারফরম্যান্সটা করব সেটা যেন দলের উপকারে আসে।' কুমিলস্না দলে বিদেশি তারকার অভাব নেই। তবে তাদের সবাই আসেনি। এটা নিয়েও খুব একটা ভাবছেন না দলের নতুন অধিনায়ক, 'দেখেন স্যারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। প্রথম ম্যাচ নিয়ে একটু চিন্তিত ছিলাম। তবে মোটামুটি আমাদের ফরেনার সবাই চলে এসেছে। মনে হয় না সেকেন্ড ম্যাচটা নিয়ে আর কোনো সমস্যা হবে।' এদিকে লিটন দাসের অধিনায়কত্বের বিষয়টি বেশ স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন ইমরুল। তার দাবি, যোগ্য লোকের হাতেই কুমিলস্নার নেতৃত্ব পড়েছে। ২০১৫ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজার অধীনে প্রথমবার শিরোপা ছুঁয়ে ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এরপর ২০১৮, ২০২২ এবং ২০২৩ সালে আরও তিনবার শিরোপা উৎসবে মেতেছে কুমিলস্না। এই তিনবারই দলটির অধিনায়কত্ব করেছেন ইমরুল। আর প্রত্যেকবারই প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। তবে এবারের বিপিএলের শুরুতেই ইমরুলকে দেশসেরা এই কোচ জানিয়ে দেন এবার আর অধিনায়ক থাকছেন না। ইমরুলের ভাষ্য, 'গত পরশু আমাকে আমার কোচ (সালাহউদ্দিন) জানিয়েছে। অনুশীলনের সময়। এটা আমার কাছে স্বাভাবিক লেগেছে। আমি কখনো অধিনায়কত্ব নিয়ে চিন্তাও করি না যে, আমার নেতৃত্ব দিতেই হবে। দেখেন স্টিভ স্মিথ যখন অধিনায়ক ছিল, যাওয়ার পর কিন্তু আমি করেছিলাম। তো ওগুলোও স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছিলাম। এখন যে অধিনায়কত্ব চলে গেছে, সেটাও স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছি।' এই ওপেনার যোগ করেন, 'আমার কাছ থেকে আরেকজনের কাছে গেছে, এটাও স্বাভাবিকভাবে নিলাম। খেলোয়াড় হিসেবে দলে অবদান রাখতে চাই। একটা সময় পরিবর্তন হতেই হতো। আমার মনে হয় যোগ্য ব্যক্তিকেই অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেই তারা সেটা চিন্তা করেছে।' বাঁহাতি এই ব্যাটারের বিশ্বাস, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই নেতৃত্বে বদল এনেছে কুমিলস্না। ইমরুলের মতে, 'না, না, একদমই না। আমি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে খেলাটা উপভোগ করি। যখন অধিনায়ক ছিলাম, বাড়তি একটা দায়িত্ব কাজ করত। কোচের (সালাহউদ্দিন) সঙ্গে একটা বোঝাপড়া ছিল, যেটা ভালো ছিল। আমার কাছে এটা একেবারেই কঠিন ছিল না। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আপনি যেখানেই খেলেন আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির নিজস্ব পরিকল্পনা থাকে। আমি মনে করি, আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজির একটা পরিকল্পনা আছে। তারা ওই পরিকল্পনাতেই আগাচ্ছে।'