আফ্রিকান নেশনস কাপে এর আগে ১২টি ম্যাচ খেলে একটিতেও জেতেনি মোজাম্বিক। সেই দলটাই রীতিমতো অঘটন ঘটাতে বসেছিল। টুর্নামেন্টের টপ ফেভারিট মিশরকে প্রায় হারিয়ে দিয়েছিল মোজাম্বিক। মাঠের লড়াইয়ে যেসব দলই সমান সেটা তাদের বুঝিয়ে দিল পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক। তিন পয়েন্ট পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল তারা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মোহামেদ সালাহর পেনাল্টি গোলে মানরক্ষা হলো মিশরের। ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে।
ম্যাচে সবদিক থেকেই এগিয়ে ছিল মিশর। আক্রমণ ও বল দখলে প্রতিপক্ষের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছিল তারা। এতে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সফল দলটি। বাঁ পাশ থেকে আসা ক্রসে সালাহ ব্যর্থ হলেও ভুল করেননি মোস্তফা মোহাম্মদ। দারুণ ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি। এগিয়ে গিয়েও ম্যাচে দাপট ধরে রাখে মিশর। আক্রমণ ও বল দখলেও এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। এদিন সবার চোখ ছিল সালাহর ওপর। কিছুটা নিচে নেমে খেলা তৈরির কাজটাই করছিলেন লিভারপুল তারকা। প্রথমার্ধে অবশ্য ধরা দেয়নি কোনো সাফল্য। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল মিশরের হাতে। সুযোগের অপেক্ষায় ছিল মোজাম্বিকও। এতে ম্যাচের রূপ বদলাতে সময় লাগেনি। ৫৫ মিনিটের মাথায় মোজাম্বিক মিডফিল্ডার ডোমিঙ্গোসের ক্রসে বল পেয়ে বুলেট গতির হেডে জালে জড়ান উইটি।
এই গোলের রেশ ধরেই কিনা আবারও গোল পেয়ে যায় তারা। ম্যাচের ৬০ মিনিটের সময় মিশরকে স্তদ্ধ করে দেন ক্লেসিও বাক। আর এতেই মিশরের মনে ভীতি সঞ্চার হয়। তাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় কোনোমতে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়া। পিছিয়ে পড়ে মিশর চেষ্টা করে ম্যাচে ফেরার।