স্প্যানিশ সুপার কাপে গত আসরে রিয়াল মাদ্রিদকে বিধ্বস্ত করেছিল বার্সেলোনা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে এবার বার্সাই বিধ্বস্ত হয়েছে এক ভিনিসিয়াস জুনিয়রের কাছে! ম্যাচের বয়স তখন ১০ মিনিটও হয়নি, এর মধ্যেই দুই গোলের ব্যবধানে রিয়াল মাদ্রিদকে এগিয়ে দেন ভিনিসিয়াস। এরপর রবার্তো লেভানদোভস্কির গোলে ম্যাচে ফিরেছিল বার্সেলোনা। কিন্তু এরপর আরও দুটি গোল আদায় করে কাতালানদের রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপ পুনরুদ্ধার করল লস বস্নাঙ্কোসরা।
সৌদি আরবের রিয়াদের কিং সাউদ ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়ামে রোববার রাতে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনাকে ৪-১ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। দলের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়াস। অপর গোলটি করেন ভিনিসিয়াসের জাতীয় দলের সতীর্থ রদ্রিগো। বার্সার হয়ে সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন লেভানদোভস্কি। গত বছর এই মাঠেই রিয়ালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতেছিল বার্সেলোনা। যেটা ছিল দলটির রেকর্ড ১৪তম শিরোপা। সেই মাঠেই বার্সাকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিল রিয়াল। আসরে এটা তাদের ১৩তম শিরোপা।
সম্প্রতি পারফরম্যান্সে রিয়ালকেই এগিয়ে রেখেছিল সবাই। কিন্তু এল ক্লাসিকো বলেই আশা ছিল কাতালানদের। তবে ম্যাচে স্পষ্ট প্রাধান্য বিস্তার করে রিয়াল। যদিও বল দখলে বরাবরের মতো এগিয়ে ছিল বার্সাই। ৫৮ শতাংশ সময় ছিল তাদের দখলে। এ সময়ে ১২টি শট নিয়ে ৭টি লক্ষ্যে রাখে তারা। অন্যদিকে ১৮টি শট নিয়ে ৯টি লক্ষ্যে রাখে রিয়াল। এদিন ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই এগিয়ে যায় সাদা জার্সিধারীরা। 'হাই-লাইন' ডিফেন্সের মূল্য দেয় বার্সা। জুড বেলিংহ্যামের বাড়ানো বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন ভিনিসিয়স। এরপর এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে কাটিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
এর তিন মিনিট পর দানি কারবাহালের নিজেদের অর্ধ থেকে বাড়ানো পাস দেন রদ্রিগোকে। ডান প্রান্ত থেকে ভিনিসিয়াসের উদ্দেশে বল বাড়ান তিনি। দারুণ এক সস্নাইডে ফাঁকা জালে বল পাঠান এই ব্রাজিলিয়ান। ৩৩তম মিনিটে ব্যবধান কমান লেভানদোভস্কি। বাঁ প্রান্ত থেকে আলেহান্দ্রো বাল্েদর ক্রস ফেরলান্দ মেন্দি ক্লিয়ার করলে বক্সের মাথায় বল পেয়ে দারুণ এক ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন এই পোলিশ তারকা।
পাঁচ মিনিট পরই আবার ব্যবধান বাড়ায় রিয়াল। সফল স্পট কিকে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ভিনিসিয়াস। তাকে বক্সে রোনালদ আরাহো ফাউল করলে পেলান্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ৬৪তম মিনিটে বার্সার সব আশা শেষ করে দেন রদ্রিগো। ভিনিসিয়াসের পাস জুলস কুন্দে ক্লিয়ার করতে না পারলে ফাঁকায় বল পেয়ে জালে পাঠান রদ্রিগো। আর ৭১তম মিনিটে আরেকটি ধাক্কা খায় বার্সেলোনা। ভিনিসিয়াসকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বহিষ্কার হন আরাহো। ১০ জনের দল নিয়ে আর পেরে ওঠেনি বার্সা। বেশ কিছু সুযোগ পেলেও তা থেকে গোল আদায় করতে ব্যর্থ হলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। দারুণ জয়ে উচ্ছ্বাসে মাতে রিয়াল।