পালমারের গোলে জিতল চেলসি

প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
কয়েকদিন আগেই ইংলিশ কারাবাও কাপের (লিগ কাপ) সেমিফাইনালে মিডলসব্ররার কাছে হেরে গিয়েছিল চেলসি। দ্বিতীয় সারির দলটির কাছে পরাজয়ের পর আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়ারই কথা। তবে, শনিবার রাতে ঘরের মাঠ স্টামফোর্ড ব্রিজে সেই আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার কাজটি সম্পন্ন করতে পেরেছে বস্নুজরা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে চেলসি। যদিও মাউরিসিও পচেত্তিনোর দল আরেকবার গোলমুখের সামনে ছিল বিবর্ণ। কোল পালমারের পেনাল্টি গোল গড়ে দেয় ম্যাচের পার্থক্য, শনিবার রাতে ১-০ গোলে ফুলহ্যামকে হারিয়েছে তারা। এই জয়ে লিগ টেবিলে দুই ধাপ এগিয়ে আটে চেলসি। এক ম্যাচ কম খেলা ম্যানইউ ও নিউক্যাসেল ইউনাইটেডকে পেছনে ফেলেছে তারা। আর টানা পাঁচটি অ্যাওয়ে ম্যাচ হারা ফুলহ্যাম ১৩তম স্থানেই আছে। ম্যাচটা ছিল লন্ডনে চেলসির প্রতিবেশীদের বিপক্ষে। এই ম্যাচে চেলসির ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন কোল পালমার। চলতি মৌসুমে চেলসির সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। তার পেনাল্টি গোলেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা তৃতীয় জয় পেল বস্নুজরা। যদিও এই জয় পেতে মাউরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যদের প্রচুর ঘাম ঝরাতে হয়েছে। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে স্পট কিক থেকে বার্ন লেনোকে ভুল দিকে পাঠিয়ে গোল করেন পালমার। বক্সের মধ্যে রহিম স্টার্লিংকে ইসা ডিওপ ফাউল করলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। এটি ছিল পালমারের নবম লিগ গোল, গত মৌসুমের পুরোটা সময়ে চেলসির শীর্ষ গোলদাতার চেয়ে দুটি বেশি। গ্রীষ্মকালীন দলবদলে শেষ মুহূর্তে ম্যানসিটি থেকে চেলসিতে চুক্তি করেন পালমার। দিনকে দিন নিজেকে ক্লাবটির বিপজ্জনক খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত করছেন তিনি। যদিও মিডলসব্ররার বিপক্ষে লিগ কাপের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে দলের হারে সুযোগ নষ্ট করে সমালোচিত হন তিনি। ফুলহ্যাম সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল। ৭৩তম মিনিটে রাউল জিমেনেজের শট এক হাতে সেভ করেন কিপার জর্ডি পেত্রোভিচ। চেলসি কিপার তারও আগে প্রথমার্ধে হ্যারি উইলসনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেন। গোল ব্যবধান বাড়াতে পারত চেলসি। অধিনায়ক কনর গ্যালাঘেরের শট পোস্টে লাগে। পুরো ম্যাচে লক্ষ্যে চেলসির শট ছিল মাত্র তিনটি। গোলমুখের সামনে তাদের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিচ্ছবি এই পরিসংখ্যান। ম্যাচের প্রথমার্ধের একেবারে শেষ সময়ে (৪৫+৪ মিনিটে) ফুলহ্যাম ডিফেন্ডার ইসা দিওপ বক্সের মধ্যে রাহিম স্টার্লিংকে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক নিতে এসে গোলরক্ষক বার্নড লেনোকে পুরোপুরি বোকা বানিয়ে বল জালে জড়ান পালমার। মৌসুমে এ নিয়ে চেলসির হয়ে ৯টি গোল করেছেন তিনি। অথচ, মিডলসবরোর কাছে ১-০ গোলে হারের কারণে পালমারকেই কঠোর সমালোচনা শুনতে হয়েছিল। কারণ, ওই ম্যাচে বেশ কিছু সুযোগ মিস করেন তিনি। ওই ম্যাচের পর পালমার নিজেই বলেন, 'ম্যাচের পর আমি খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। এতগুলো সুযোগ নষ্ট করার কারণে যে কেউ এমন হতাশ হবে নিশ্চিত। তবে শেষ পর্যন্ত ভাগ্য সহায় হয়েছে যে, আমরা জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারছি।'