আন্ডারডগ দল নিয়ে জেতার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে 'দুর্দান্ত ঢাকা'
প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
দুয়ারে কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর। ১৯ জানুয়ারি পর্দা উঠবে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টি২০ টুর্নামেন্টের। বিপিএলে এবার উদ্বোধনী ম্যাচেই নামবে দুর্দান্ত ঢাকা। প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্স।
রোববার মিরপুরে প্রথমবার অনুশীলন করেছে দুর্দান্ত ঢাকা। স্থানীয়দের মধ্যে অন্যতম সফল কোচ খালেদ মাহমুদ বিপিএলে তারকা খেলোয়াড়দের নিয়েই মাঠে নামেন প্রতিবার। এবারের দলটির শক্তি কাগজে-কলমে খুব একটা নেই। তাতে কোচ হিসেবে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি সুজন।
বেক্সিমকো গ্রম্নপ ছেড়ে দেওয়ার পর বিপিএলে ঢাকার কোনো শক্তিশালী কিংবা থিতু ফ্র্যাঞ্চাইজি পাওয়া যাচ্ছে না। আগের বছর ঢাকা ডমিনেটর্স নামে যে দল খেলেছিল তারা ছিল পারফরম্যান্সের তলানিতে। এবার দুর্দান্ত ঢাকাতেও তেমন বড় কোনো তারকা নেই।
গত বছর খুলনা টাইগার্সের কোচ ছিলেন সুজন। এবার নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি দুর্দান্ত ঢাকার দায়িত্ব নিয়েছেন। দলটিতে নামের দিক থেকে খুব বেশি বড় নাম নেই। তবুও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সুজন। একই সঙ্গে তিনি বলছেন, প্রথম লক্ষ্য কোয়ালিফায়ারে খেলা।
দলটির কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন, তারকা ক্রিকেটার সে অর্থে না থাকলেও পেস্ন-অফে খেলার লক্ষ্য তাদের, 'কাগজে-কলমে সে রকম মানের খেলোয়াড় আমাদের নেই। বাজেট একটা বিষয় থাকে, আমাদের বাজেট হয়তো অত বেশি না। তারপরও আমি বিচলিত না, ছোট ফরম্যাটের খেলায় যে কোনো দিন যে কেউ জিততে পারে। তিন-চারজন পারফর্ম করলেই হয়। দেশসেরা দুজন পেসার আমরা পেয়েছি, তাসকিন-শরিফুল। স্পিনাররা ভালো আছে। আরাফাত সানি বেশ অভিজ্ঞ, চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। স্পিনেও যথেষ্ট শক্তি আছে।'
ব্যাটিংয়ে নাঈম শেখ, মোসাদ্দেক। ব্যাটিং অতটা খারাপ হবে না। মুখে বললে তো হবে না, মাঠে কী করব সেটাই আসল। যে কোনো দিন যে কোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানানো আমাদের লক্ষ্য। আমাদের হয়তো অত বড় নাম নেই, তবে অভিজ্ঞতা আছে। আশা করি স্থানীয় খেলোয়াড়রা সে সুযোগটা নেবে। আমরা পেস্ন-অফ খেলতে চাই।'
'ফার্স্ট টার্গেট ইজ সেমিফাইনাল স্টেজে যাওয়া। ওইটাই টার্গেট। প্রস্তুতি বলতে ছেলেরা সবাই কাজ করছিল, সবার সঙ্গে কথা হচ্ছিল। বাট দল হিসেবে আজকে আমরা প্রথম শুরু করলাম। দলকে একসঙ্গে করাটা একটা ব্যাপার ছিল। যার যেখানে প্রয়োজন ছিল, যার যেখানে প্র্যাকটিস করার ফ্যাসিলিটি ছিল সেটা আমি অ্যারেঞ্জ করে দিয়েছিলাম সবাইকে। যার জন্য সবাই আসলে ট্রেনিংয়ের মধ্যে ছিল।'
দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে বরাবরই বড় অবদান রাখেন কোচরা। তবে তাদের নিজেদের প্রমাণের মঞ্চ না পাওয়ার হতাশার কথা শোনা যেত নিয়মিত। এবারের বিপিএলে অবশ্য অনেকটাই বদলে গেছে প্রেক্ষাপট। বিপিএলের সাত দলের সব কোচই দেশি। দুর্দান্ত ঢাকার হেড কোচের দায়িত্বে আছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। বিপিএলে অনেকদিন ধরে কোচিং করানো সুজনের বিশ্বাস, দেশি কোচরা এবার পেয়েছেন বড় পস্ন্যাটফর্ম।
তিনি বলেন, 'আমি মনে করি দারুণ। বিরাট বড় পস্ন্যাটফর্ম আমাদের দেশীয় কোচদের জন্য। যারা হয়তো এই বছর প্রথম হেড কোচ হিসেবে কাজ করবে তাদের জন্য তো অবশ্যই। পস্নাস যারা সহযোগী কোচ আছে তারা সবাই বাংলাদেশি। অনেকে সুযোগ পাচ্ছে ট্রেনার ফিজিও, এটা আমাদের ক্রিকেটের জন্য ডেভেলপমেন্টের জিনিস। আমাদের ডেভেলপমেন্টের জন্য এটাও বড় স্তর।'
সুজন বলেন, 'যখন যে দল গড়ে, সবাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে গড়ে। আমি যদি খুব রিয়েলস্টিক চিন্তা করি তাহলে প্রথম ধাপটা হলো নক-আউটে যাওয়া। এটা আমাদের ফার্স্ট টার্গেট। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য তো লাক লাগে। নক-আউটে গিয়ে যদি খুব ভালো খেলেন কিন্তু হেরে যান তাহলে ইউ মাইট বি আউট।'
দুর্দান্ত ঢাকার স্কোয়াড
ধরে রাখা ক্রিকেটার- তাসকিন আহমেদ, আরাফাত সানি, শরিফুল ইসলাম। সরাসরি চুক্তি (দেশি)- মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। সরাসরি চুক্তি (বিদেশি) : চতুরাঙ্গা ডি সিলভা, স্যাম আইয়ুব, উসমান কাদির। ড্রাফট : সাইফ হাসান, ইরফান শুক্কুর, আলাউদ্দিন বাবু, এসএম মেহরাব হোসেন, লাহিরু সামারাকুন, সাদিরা সামারাবিক্রমা, নাঈম শেখ, সাব্বির হোসেন, জসিমউদ্দিন।