বিসিবির সভাপতি পদে বাইরে থেকে আসার সুযোগ নেই :পাপন

প্রকাশ | ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
নাজমুল হাসান পাপন, এমপি
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রী হিসেবে তার নাম ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই ক্রীড়াঙ্গনে আলোচনা চলছিল তবে কী বোর্ড সভাপতির পদটা ছেড়েই দেবেন পাপন। যদি নির্দিষ্ট মেয়াদের আগে পদ ছেড়েই দেন, তবে কে হবেন নতুন সভাপতি। মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন পর গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন পাপন। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ও বিসিবি সভাপতির পদ একই সঙ্গে চালানো নিয়ে পাপন বলেন, 'আইনে কোনো সমস্যা নেই এটাই হচ্ছে বড় কথা। কথা হচ্ছে একসঙ্গে যদি দুটোতে থাকি তাহলে একটা স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে ক্রিকেটের প্রতি আমার দৃষ্টিটা একটু বেশি। এটা সবার ধারণা এটা অস্বাভাবিক কিছু না।' বর্তমান কমিটির মেয়াদের আগে বিসিবির দায়িত্ব ছাড়লে নতুন করে বোর্ড ডিরেক্টরদের মধ্যে থেকে কেউ দায়িত্বে আসবেন বলেও জানিয়ে রাখলেন পাপন। তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় একটা হতে পারে আইসিসির মেয়াদটা শেষ হয়ে গেলে তখন একটা চিন্তা করে ওদের সঙ্গে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের ডাইরেক্টর আছে তাদের মধ্যে থেকে একজন হবে। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই।' পাপনের মনে ক্রিকেট সবসময় থাকবে, 'যদিও আমি বলে রাখি, আমি যদি এই ক্রিকেট বোর্ড, মন্ত্রণালয়ে নাও থাকি তাও ক্রিকেট সবসময় আমার সঙ্গে থাকবে। এটা মন থেকে তো আর সরানো যাবে না। সেটা আছে কিন্তু ভালো হয় যদি আলাদা হয়ে যায়। আলাদা হয়ে গেলে ভালো হবে কারণ তাহলে আর মানুষের মধ্যে ওই সন্দেহটা হবে না হয়তো ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ আমি গুরুত্ব সবগুলোকে দিতে চাই। তবে প্রায়োরিটি ভিত্তিক।' বিসিবি সভাপতি হিসেবে নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন সাকিব ও মাশরাফি দুজনই। বিসিবির নতুন সভাপতি নিয়োগ নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চান না পাপন, 'এখানে বেসিক কয়েকটা ব্যাপার আছে, প্রথম কথা হচ্ছে ইচ্ছা করলেই ছেড়ে দেওয়া যায় না এখন। সেটা আমরা জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রেও দেখেছি দুই বছর তারা প্রায় ব্যান (নিষিদ্ধ), শ্রীলংকার ক্ষেত্রেও এবার দেখেছি। আমি মনে করি এমন কিছু তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না, যেটা দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করতে পারে। তবে অপশন কি কি আছে। একটা অপশন ওদের সঙ্গে আমার কথাটা বলতে হবে। এখানে দুটো জিনিস আছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে আমাদের মেয়াদ যেটা সবসময় আইসিসি চায় তাদের ইলেকটেড বডির (নির্বাচিত কমিটি) ফুল মেয়াদটা। আর একটা হচ্ছে আইসিসির মেয়াদ।' পরে মাশরাফিকে বিসিবির সভাপতি হিসেবে তিনি দেখতে চান কি না। জবাবে পাপন বলেন, 'এটা বলা মুশকিল, প্রথম কথা হচ্ছে এটা একটা প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় আগে আসতে হবে তাকে। প্রথমে তাকে কাউন্সিলরারশিপ নিতে হবে। কাউন্সিলর হওয়ার পরে আসতে হবে নির্বাচিত হয়ে। যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে, তারা ঠিক করবে কে সভাপতি হবে। প্রসেসটা খুব সিম্পল।' কেবল মাশরাফিই নন, বিসিবি সভাপতি হওয়ার মতো আরও অনেকে আছেন। এক-এক করে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালক ও সাবেক ক্রিকেটারদের নাম বলেন পাপন, 'এখন ধরেই নিলাম আমার বোর্ডের সবাই আছে। নতুন আরও দু'জন বা একজন এলো, এখানে সিনিয়রদের মধ্যে সিরাজ (এনায়েত হোসেন সিরাজ) ভাই আছে, ববি (আহমেদ সাজ্জাদুল আলম) ভাই, জালাল ইউনুস এবং মাহবুব আনাম আছে। আবার ক্রিকেটারদের মধ্যে সিনিয়র যারা আছে আকরাম খান আছে দুর্জয় (নাইমুর রহমান) আছে আমাদের সুজন (খালেদ মাহমুদ) আছে। আমি বলছি যে অনেকেই আছে। এখন তারা কাকে বেছে নেবে এটা কিন্তু বলা কঠিন। বাইরে থেকে চাপানোর কোনো সুযোগ নেই।'