বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দামামা বাজতে শুরু করেছে। ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক দেশের একমাত্র টি২০ প্রতিযোগিতা। বিপিএলকে সামনে রেখে ক্রিকেটাররা মাঠে ফিরতে শুরু করেছে। নির্বাচনী ব্যস্ততা শেষে সাকিব আল হাসান মাঠে ফিরেছেন দুদিন হলো। তামিম ইকবাল, লিটন দাসও ফিরেছেন মিরপুরের সবুজ গালিচায়। সবার মুখে একটাই নাম, বিপিএলের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা কবে ফিরবেন মাঠে?
সিলেট সিক্সার্সের হয়ে এবার বিপিএল খেলবেন মাশরাফি। গতবার তার দল হয়েছিল রানার্সআপ। স্বাভাবিকভাবেই তার দিকে বাড়তি নজর ক্রিকেটপ্রেমীদের। কিন্তু বিপিএলের আগে সিলেটের জন্য চরম দুঃসংবাদ। হাঁটুর চোটে ভুগছেন মাশরাফি। নির্বাচনের ব্যস্ততায় প্রয়োজনীয় শুশ্রূষা নিতে পারেননি।
টানা দ্বিতীয়বার নড়াইল-২ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর বুধবার ঢাকায় ফিরে শপথ নিয়েছেন। ধীরে ধীরে তার মনোযোগ ফিরছে ক্রিকেটে। হাঁটুর চোট কতটা গুরুতর জানার অপেক্ষায় মাশরাফি। তিনি বলেছেন, 'আমার হাঁটুর অবস্থা আগে ডাক্তারকে গিয়ে দেখাতে হবে। চেক-আপ করতে হবে। কোন অবস্থায় আছে সেটা দেখার পর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।'
গতবার বিপিএলে সিলেটকে তেমন কেউ গোনায় ধরেনি। কিন্তু মাঠের ক্রিকেটে মাশরাফির দল ছিল দুর্দান্ত। ফাইনালেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করেছিল। শেষদিকে গিয়ে ছন্দ হারিয়ে ম্যাচ হেরে যায়। কাগজে-কলমে সেবারও সিলেট শক্তিশালী ছিল না। বড় নামের খেলোয়াড়ও ছিল অনুপস্থিত। এবারও তাই। মাশরাফি যে হাল ছাড়ার পাত্র নয় তা বুঝিয়ে দিলেন কথায়, 'নামের দিক থেকে এবারও অনেক...অনেকেই বলছে এবারও তাই (দুর্বল)। তবে দলে ব্যালেন্সের বিষয় আছে। আমার কাছে মনে হয়নি যে দল খারাপ। আসলে আমার কি অবস্থা এটা আসলে নিশ্চিত না হয়ে দলের অবস্থা বলতে পারছি না।'
দলের সাফল্যের জন্য দলীয় একতা, শ্রমের কথা বললেন মাশরাফি, 'কোনো টোটকা (সাফল্যের) নেই। শ্রম দিতে হবে। যে কোনো কাজের পেছনে আপনার পরিশ্রম এবং মনোযোগ দিতে হবে। খেলাধুলা হচ্ছে টিম গেম। টোটকার বিষয় না। আমরা যে নির্বাচনে জিতলাম এখানেও টিম গেম ছিল। খেলাধুলাতেও তাই। ডেডিকেশন ঠিক থাকতে হয়।'