নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ
নতুনদের নিয়েই শিরোপার লক্ষ্য বাংলাদেশের
প্রকাশ | ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
রাজধানীর কমলাপুর স্টেডিয়ামে তিন বছর আগে অনূর্ধ্ব ১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। নতুন বছরে এই স্টেডিয়ামেই আবারও হতে যাচ্ছে মেয়েদের বয়সভিত্তিক এই সাফ টুর্নামেন্ট। ভেনু্য-টুর্নামেন্ট একই হলে গত তিন বছরে নারী দলে এসেছে অনেক পরিবর্তন। কোচের চেয়ারে নারীদের দীর্ঘদিনের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের জায়গায় এসেছেন সাইফুল বারী টিটু। যেহেতু বয়সভিত্তিক দল। তাই বর্তমান দলটিতে নেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের বেশিরভাগ ফুটবলার। বলতে গেলে একেবারেই নতুন একটি দল নিয়ে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেই চ্যালেঞ্জটাও দারুণভাবেই গ্রহণ করছেন কোচ টিটু।
আগামী ২ থেকে ৮ ফেব্রম্নয়ারি কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব ১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। যেখানে বাংলাদেশের সঙ্গী হয়েছে ভারত, নেপাল, ভুটান। লিগভিত্তিতে খেলা শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দল খেলবে ফাইনালে। ৮ ফেব্রম্নয়ারি হবে শিরোপা লড়াই।
২০২১ সালে এই ভেনু্যতেই হয়েছিল টুর্নামেন্টের আগের আসর। ফাইনালে বাংলাদেশ ১-০ গোলে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার বাংলাদেশের সামনে শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। কোচ সাইফুল বারী টিটু প্রস্তুতি সম্পর্কে বলেছেন, 'এই দলটি কখনো একসঙ্গে খেলেনি। আগের দলের অনেকে বাদ পড়েছেন। অনূর্ধ্ব-১৭ দল থেকে যোগ হয়েছেন অনেকে। তারপরও এই দল নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী আমি।'
২০২১ সালের ডিসেম্বরে যে দলটি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সেখানে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ছিল বেশি। গোলরক্ষক রূপনা চাকমা, আঁখি খাতুন, মারিয়া মান্ডা, দুই শামসুন্নাহার, রিতু পর্না চাকমা, শাহেদা আক্তার রিপা, আনুচিং মগিনি, আনাই মগিনি, উন্নতি খাতুন ও স্বপ্না রানীদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ছিলেন। ওই দলের সঙ্গে তুলনা করলে বর্তমান দলটি এক প্রকার নতুন।
কোচ টিটু এই দলটির খেলোয়াড়দের সামনে জাতীয় দলকে রোল মডেল হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন, 'আমাদের জাতীয় দলের সাফল্য বিশেষ করে সর্বশেষ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দুই ম্যাচে জাতীয় দলের পারফরম্যান্স আমি ওদের (বর্তমান অনূর্ধ্ব-১৯) সামনে তুলে ধরি এবং জাতীয় দলকে তাদের সামনে রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করি। যাতে এরাও উজ্জীবিত হয়ে মাঠে নিজেদের সেরাটা দিতে পারে।'
জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড় এই অনূর্ধ্ব-১৯ দলে একদম কম। আফেইদা খন্দকার প্রান্তি, সুরমা খাতুন, স্বপ্না রানী ও ইতিদেরই কেবল সিনিয়র দলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এই নতুনদের নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে প্রস্তুত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন টিটু, 'আমি এখন ২৭ জন নিয়ে অনুশীলন করছি। টুর্নামেন্টের এখনো কয়েক সপ্তাহ বাকি আছে। আমার খেলোয়াড়দের যে কোয়ালিটি আছে সে অনুযায়ীই আমাকে পরিকল্পনা সাজাতে হবে। এই দলে যেহেতু নতুন খেলোয়াড় বেশি, তাই আগে বলা মুশকিল শেষ পর্যন্ত ফলাফল কী হবে। তবে আমরা অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য খেলব।'