এমপি নির্বাচিত হয়েছেন অনেক ক্রীড়াব্যক্তিত্ব
প্রকাশ | ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অনেকেই। পুরনোদের সঙ্গে এবার নতুন তিন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছেন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল (মৌলভীবাজার), সাকিব আল হাসান (মাগুরা), আবুল কালাম আজাদ (জামালপুর)।
বর্তমান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলও গাজীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
ক্রীড়াবিদদের মধ্যে এবার নির্বাচনে জিতেছেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, মাশরাফি বিন মর্তুজা (নড়াইল), সাকিব আল হাসান। সালাম মুর্শেদী, মাশরাফি দ্বিতীয় এবং সাকিব প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন।
সংগঠকদের মধ্যে নির্বাচন করেছিলেন আরও বেশি। বিসিবির বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আবার কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। বিসিবির আরেক পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল মৌলভীবাজার থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বাফুফের সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। যশোর-৩ থেকে তিনি বেশ সহজেই জিতেছেন। ২০১৪ সাল থেকে নাবিল সংসদ সদস্য হয়ে আসছেন এই আসন থেকে।
বিসিবির সাবেক দুই সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা) ও আ হ ম মোস্তফা কামাল (কুমিলস্না) উভয়ই জয়লাভ করেছেন। এই দুজনেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। সাবেক রেফারি ও বাফুফের সাবেক সহ-সভাপতি বীর বাহাদুরও নির্বাচিত হয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিত বীর বাহাদুর।
ফুটবল, ক্রিকেট বাদে অনেক ফেডারেশনের সভাপতি পদে এমপি, মন্ত্রীদের মনোনয়ন দেয় সরকার। ক্যারম ফেডারেশনের সভাপতি জুনাইদ আহমেদ পলক (নাটোর), টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, স্কোয়াশ ফেডারেশনের সভাপতি ফারুক খান (গোপালগঞ্জ), রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স (পাবনা) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
ঢাকা-১ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সালমান এফ রহমান। ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি হিসেবে তার মূল পরিচিতি হলেও তিনি ক্রীড়া সংগঠকও। দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্লাব ঢাকা আবাহনীর চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন থেকে। আবাহনী ক্লাবের অন্যতম পরিচালক নসরুল হামিদ বিপুসহ আরও কয়েকজন পরিচালক নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
স্বতন্ত্র দাঁড়ানো ক্রীড়াঙ্গনের কেউই নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি। ক্রীড়াবিদদের মধ্যে থেকে ক্রীড়ামন্ত্রী হওয়ার কৃতিত্ব গড়েছিলেন সাবেক জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক আরিফ খান জয়। এবার নির্বাচনে তিনি নেত্রকোনা-২ আসন থেকে পরাজিত হয়েছেন। বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে তার পরাজয়ের ব্যবধান প্রায় বিশ হাজার। ২০১৪ সালে নেত্রকোনা-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন জয়। এবারও তিনি দলীয় প্রতীক পাননি। এরপরও স্বতন্ত্রভাবে যথেষ্ট লড়াই করেছেন।
বাফুফের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক নোয়াখালী-২ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন। ক্রীড়াঙ্গনে নতুন এই সংগঠককে ভোটের মাঠেও প্রায় চমক দেখিয়ে ফেলছিলেন। এই আসনের বর্তমান এমপি মোরশেদ আলমের সঙ্গে অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বাফুফের অন্যতম নির্ধারক। মাত্র ৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন মানিক।
এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন সাবেক তারকা ফুটবলার ও বিসিবির সাবেক পরিচালক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল। মানিকগঞ্জ-২ আসনে নির্বাচনে তিনি তেমন ভোট পাননি। মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশ সার্ফিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ জিততে পারেননি।
বিসিবির পরিচালক ও সাবেক ক্রিকেটার নাঈমুর রহমান দুর্জয় গত দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। সাবেক অ্যাথলেট ও বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভানেত্রী মাহবুব আরা গিনি মনোনয়নপত্র তুললেও ভোটের লড়াইয়ে যেতে পারেননি।