প্যারিস অলিম্পিকের দৌড়ে বাংলাদেশের ৬ ক্রীড়াবিদ

প্রকাশ | ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রীড়া আসর অলিম্পিক। আসন্ন প্যারিস অলিম্পিকে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন চার ডিসিপিস্ননে ৬ ক্রীড়াবিদের ওয়াইল্ড কার্ডের জন্য আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছে আবেদনের সিদ্ধান্ত নেয়। আরচ্যারি (১), গলফ (২), শুটিং (২) ও বক্সিং (১) চার ফেডারেশন ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে তাদের মনোনীত খেলোয়াড়ের নাম প্রেরণ করেছে। প্যারিস অলিম্পিকে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের শেফ দ্য মিশন ইন্তেখাবুল হামিদ অপু শুটিং ফেডারেশনেরও মহাসচিব। তিনি তার খেলোয়াড় নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, 'এয়ার রাইফেলে দুই জনকে আমরা মনোনীত করেছি। একজন নারী (শায়রা আরেফিন) ও একজন পুরুষ শুটার (রবিউল ইসলাম)।' গলফ থেকে পাঠানো হয়েছে সিদ্দিকুর রহমান ও জামাল হোসেনের নাম। সিদ্দিক ২০১৬ রিও অলিম্পিকে শীর্ষর্ যাংকিংয়ে থাকায় খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন।' বক্সিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তুহিন বলেন, 'অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভার পরই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সেলিমের নাম পাঠিয়েছি।' বক্সার সেলিম এশিয়ান গেমসে কোয়ার্টার ফাইনালে লড়ে পদকের আশা জাগিয়েছিলেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই বক্সিং ফেডারেশন সেলিমের নাম দিয়েছে। আরচ্যারি ফেডারেশন রিকার্ভ ইভেন্টে সর্বোচ্চর্ যাংকিংধারী পুরুষ আরচ্যার হাকিম আহমেদ রুবেলের নাম মনোনীত করেছে ওয়াইর্ল্ড কার্ডের জন্য। আরচ্যারির জার্মান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিক নারী আরচ্যারের পরিবর্তে পুরুষ আরচ্যার বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে বলেন, 'আমাদের শীর্ষর্ যাংকিংধারী পুরুষ আরচ্যারের স্কোর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শীর্ষ আরচ্যারদের কাছাকাছি। সেই তুলনায় নারী আরচ্যারের স্কোর আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে কিছুটা পিছিয়ে।' টোকিও অলিম্পিকে রোমান সানা সরাসরি নিজ যোগ্যতায় খেলেছিলেন। পরবর্তীতে দিয়া সিদ্দিকী ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে খেলেন। আরচ্যারি, বক্সিং, গলফ ও শুটিংয়ে ৬ জনের ওয়াইল্ড কার্ডের আবেদন করা মানে অলিম্পিকে অংশগ্রহণ নিশ্চিত নয়। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি একটি ত্রিপক্ষীয় কমিশনের মাধ্যমে বিচার বিশ্লেষণের পর ওয়াইল্ড কার্ড প্রদান করে। এই ৬ জনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কয়জন অলিম্পিকে বাংলাদেশে প্রতিনিধিত্ব করবেন এজন্য অপেক্ষা করতে হবে। এই ৬ জনের পাশাপাশি আরও নূ্যনতম ২/৩ জন ক্রীড়াবিদের অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। অ্যাথলেটিক্স ও সাঁতারে ওয়াইল্ড কার্ডের জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে আবেদন করতে হয় না। আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স ও সাঁতার ফেডারেশন একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের অধিভুক্ত সংস্থাকে অবহিত করে। আরচ্যারি, শুটিংয়ে ওয়াইল্ড কার্ডের বাইরে এখনো অলিম্পিকে কোটা পেস্নস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রোমান-দিয়াদের পথও রুদ্ধ হয়নি এখনো। মার্চে তুরস্কের আনতালিয়ায় অলিম্পিক কোটা পেস্নসের এক টুর্নামেন্ট রয়েছে। সেই টুর্নামেন্টে শীর্ষ দুই-তিনের মধ্যে থাকতে পারলে বাংলাদেশি আরচ্যাররা পুনরায় সরাসরি অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবেন।