দক্ষিণ আফ্রিকায় কঠিন কন্ডিশন ও বাউন্সি উইকেটের চ্যালেঞ্জ
প্রকাশ | ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
আগামী ৭ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা যাত্রা করবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। মূল লড়াইয়ের আগে শুধু মাঠের খেলাই নয়, মানসিকভাবে শক্ত রাখতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। জানিয়েছেন দলের ম্যানেজার সানোয়ার হোসেন। বিশ্বকাপ যাত্রার আগে সুযোগ থাকলে তামিম, মুশফিকদের সঙ্গে একটি সেশন রাখার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি। ২০২৩ সালের মতো ২০২৪ সালটা রাঙাতে চায় বাংলাদেশ। চেনা কন্ডিশন হলেও উইকেটের চ্যালেঞ্জ থাকবে বলে জানিয়েছেন কোচ স্টুয়ার্ট ল।
হেড কোচ স্টুয়ার্ট ল এর অধীনে সময়টা ভালো কাটাচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ২০২৩ সালটা যুবারা রাঙিয়েছে এশিয়া কাপ জয় দিয়ে। ২০২৪ এর নতুন চ্যালেঞ্জ। দক্ষিণ আফ্রিকায় চেনা ভেনু্য হলেও কন্ডিশনটা কঠিন বাংলাদেশের জন্য। আবহাওয়ার সঙ্গে আছে প্রোটিয়াদের বাউন্সি উইকেটের চ্যালেঞ্জও।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হেড কোচ স্টুয়ার্ট ল বলেন, '২০২৩ সালটা আমরা দারুণ কাটিয়েছি। এশিয়া কাপ জয় করেছে যুবারা। ২০২৪ সালটা বিশ্বকাপ দিয়ে শুরু করব আমরা। আগের বছরের সুসময় এবছরও ধরে রাখতে চাই আমরা। দক্ষিণ আফ্রিকায় বড় চ্যালেঞ্জ সেখানকার আবহাওয়া। এ ছাড়া উইকেটের ধরন আলাদা। আশার ব্যাপার হলো, যেকোনো কন্ডিশনে ছেলেরা দ্রম্নত মানিয়ে নিতে পারে। আশা করি, ভালো কিছু হবে।'
বিশ্বকাপের 'এ' গ্রম্নপে বাংলাদেশের অন্য প্রতিপক্ষ ভারত, যুক্তরাষ্ট্র এবং আয়ারল্যান্ড।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে অন্যতম বড় অর্জনটি দক্ষিণ আফ্রিকায়। ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়। আকবর আলীদের হাত ধরে সেবার ভারতকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইয়াং টাইগাররা। সামনে আরও একটা বিশ্বকাপ, এবারও ভেনু্য প্রোটিয়া ভূমি।
শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনে মাহফুজুর রহমান রাব্বিরা নামবেন ২০ জানুয়ারি। ৭ তারিখ কেপটাউনের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে ইয়াং টাইগাররা। এর আগেই সব প্রস্তুতি সেরে নিতে হবে। বিশ্বকাপের মূল ফটোসেশনের আগে ক্রিকেটারদের নিয়ে হয়েছে আলাদা ফটোসেশন। দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার আগে দেশের মাটিতেই নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ যুবাদের।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ম্যানেজার সানোয়ার হোসেন বলেন, 'ফিটনেস টেস্ট দিয়ে শুরু করব। ৭ তারিখ ফ্লাইট হলেও সেদিন পর্যন্ত দলের ট্রেনিং রয়েছে।'
মূল লড়াইয়ে নামার আগে খানিকটা সময় পাচ্ছেন যুবারা। সেখানে গিয়ে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এর আগে ক্রিকেটারদের মাঠের পাশাপাশি মানসিকভাবে শক্ত করে গড়তে দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার আগে প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটারদের সঙ্গে সেশন রাখার চিন্তা করছে ম্যানেজমেন্ট।
সানোয়ার হোসেন বলেন, 'ওদের গাইডলাইন দেওয়া আছে, কোনটা করা উচিত ও কোনটা করা উচিত না। ড্রেসকোড কিংবা কোথায় যাওয়া উচিত এবং কোথায় যাওয়া উচিত না, এই গাইডলাইন দেওয়াটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের থেকে জানার অনেক কিছু আছে। তাদের সঙ্গে কিন্তু আগেও কথা হয়েছে। মুশফিক-তামিমের সঙ্গে দেখা হলে ছেলেরা অনেককিছু জানতে পারবে, দল অনুপ্রাণিত হবে। আমি আশা করি, দল যাওয়ার আগে তাদের থেকে কিছু বার্তা হলেও পাবে ছেলেরা।'