গত ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের নতুন নামফলক উন্মোচনের পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। পরে জানা যায়, হৃদযন্ত্রে কয়েকটি বস্নক ধরা পড়েছে তার। ২৮ ডিসেম্বর বাইপাস সার্জারিও হয়েছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণ শেষে কেবিনে স্থানান্তরের কথা রয়েছে দেশের কিংবদন্তি ফুটবলারকে। এরই মধ্যে সতীর্থরা খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। সুদূর শ্রীলংকা থেকেও তার সুস্থতা কামনা করেছেন একসময়ের লংকান সতীর্থ পাকির আলী।
স্বাধীনতার আগে এক মৌসুম শুধু মোহামেডানে খেলেছেন কাজী সালাউদ্দিন। এরপর আবাহনীতে বাকি ক্যারিয়ার শেষ করেছেন। সেসময় ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সালাউদ্দিনের সঙ্গে একই ক্লাবে খেলেছেন লংকান ডিফেন্ডার পাকির আলী। এরপর সালাউদ্দিন যখন আকাশী-নীল জার্সিধারীদের কোচ হন তখনো তার অধীনে খেলেছেন বর্তমানে ৭০ বছর বয়সি কোচ।
কলম্বো থেকে ফোন করে কাজী সালাউদ্দিনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়েছেন পাকির আলী। দিন চারেক আগে বাইপাস সার্জারি সফল হয়েছে। বর্তমানে ভালো আছেন শুনে পাকির আলী বলেছেন, 'সালাউদ্দিন ভাইয়ের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি। একসঙ্গে খেলেছি। তার কোচিংয়ে খেলেছিও। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। তার অসুস্থতার খবর শুনে খারাপ লাগছে। আশা করছি, তিনি দ্রম্নত সুস্থ হয়ে উঠবেন।'
পাকির আলী শুধু আবাহনীতেই খেলেননি, এরপর পিডাবিস্নউডি, শেখ জামাল ও সবশেষ পুলিশ এফসির হয়ে কোচিং করিয়েছেন। বর্তমানে কলম্বোতে বিমান বাহিনী দলে কোচ পদে যুক্ত আছেন তিনি।