ভারতের মাটিতে গত বছর বিস্মরণযোগ্য একটা বিশ্বকাপ পার করেছে বাংলাদেশ। ৯ ম্যাচে মাত্র ২টিতে জয় পেয়েছিল টাইগাররা। এমনকি হারতে হয়েছে পুঁচকে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও। এমন বাজে পারফরম্যান্স ভালোভাবে নেয়নি সমর্থকরা। বোর্ডও তাই খুঁজছে বাজে পারফরম্যান্সের নেপথ্যের কারণ।
বিশ্বকাপ শেষে টাইগাররা দেশে ফেরারও বেশ কিছুদিন পর বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই কমিটি কার্যক্রম শুরু করেছে আগেই। বিশ্বকাপ দলের সদস্যদের সঙ্গে এরই মধ্যে কথা বলেছে সেই তদন্ত কমিটি। খেলোয়াড় ছাড়াও বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান জালাল ইউনুস থেকে শুরু করে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশার, মিডিয়া ম্যানেজার রাবীদ ইমামের সঙ্গেও কথা বলেছে বোর্ড পরিচালক এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিটি। কমিটির বাকি দুই সদস্য বিসিবির আরও দুই পরিচালক মাহবুবুল আনাম ও আকরাম খান।
তবে তদন্ত কমিটিতে এবার ডাক পড়েছে এমন একজনের, যে কিনা ছিলেন না বিশ্বকাপ দলেই। গত বছর একের পর এক নাটকীয়তার জন্ম দেওয়া তামিম ইকবাল বিশ্বকাপ স্কোয়াডে না থাকলেও বিশ্বকাপ ব্যর্থতার তদন্ত কমিটি তাকেও ডেকেছে। টাইগারদের সাবেক এই অধিনায়ককে ঠিক কেন ডেকেছে তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
গণমাধ্যমে গুঞ্জন, বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পেছনে তামিম ইকবালকে ঘিরে সাম্প্র্রতিককালের ঘটনাপ্রবাহেরও সম্পর্ক থাকতে পারে, তাই ডাকা হয়েছে তাকেও। গত বছর জুলাইয়ে আফগানিস্তান সিরিজের মাঝেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে অবসর ভেঙে দলে ফিরলেও ফের বিশ্বকাপের আগে জমে ওঠে নাটকীয়তা। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ স্কোয়াডেই জায়গা পাননি তামিম। নির্বাচকদের দাবি, ইনজুরির কারণেই তামিমকে দলে রাখা হয়নি। কিন্তু তামিম জানান, বিসিবির ভেতরের নোংরামির কারণেই নিজেকে দল থেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। এসব ঘটনাপ্রবাহ দলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে তদন্ত কমিটি।
তামিম ইকবাল অবশ্য এই মুহূর্তে দেশে নেই। তবে শিগগিরই তার দেশে ফেরার কথা। এরপরই তার সঙ্গে কথা বলবে তদন্ত কমিটি। শুধু তদন্ত কমিটিই নয়, তামিমের দেশে ফেরার অপেক্ষায় বোর্ডও। তার ক্যারিয়ার নিয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে এরপরেই।
এদিকে বিশ্বকাপ দলের সদস্যদের সঙ্গে তদন্ত কমিটির কথা হলেও এখন পর্যন্ত অধিনায়ক সাকিবেরই দেখা মেলেনি। এই মুহূর্তে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত আছেন সাকিব। তামিমের সঙ্গে কথা বলার পর তদন্ত কমিটির অপেক্ষা থাকবে সাকিবের কথা শোনার।