শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

তারুণ্যই শক্তি বেক্সিমকো ঢাকার

ম ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ২৪ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
তারুণ্যই শক্তি বেক্সিমকো ঢাকার

পেস্নয়ার্স ড্রাফটে সবার আগে কাউকে বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল বেক্সিমকো ঢাকার। কিন্তু আগ্রহে শীর্ষে থাকা সাকিব আল হাসানকে নেয়নি তারা। মুশফিকুর রহিমকে নেওয়ার পর তরুণ কয়েকজন ক্রিকেটারকে টেনে নেয় কর্পোরেট হাউসটি। দল তৈরি করতে বিসিবির বেঁধে দেওয়া বাজেটের চেয়েও ৬ লাখ টাকা কম লেগেছে তাদের। কিন্তু দল হিসেবে তাদের দুর্বলের কাতারে নয়, সেরা না হলেও তাদের রাখতে হবে সেরাদের সঙ্গেই।

দলের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদের মতে, কিছু ক্রিকেটারের ঘাটতি আছে তাদের। তবে তরুণদের ওপর ভরসা রেখেই রোমাঞ্চকর কিছুর প্রত্যাশা তাদের, 'খুবই তরুণ দল। অভিজ্ঞ বলতে মুশফিক আছে, রুবেল হোসেন আছে, আরও দু-একজন। কিন্তু এমনিতে তরুণ দল। ড্রাফটে লটারিতে প্রথম হওয়ায় শুরুতে ডাকতে পারলেও পরে আবার ডাকতে হয় সবার শেষে। এতে মাঝখানে অনেক ক্রিকেটার অন্য দলে চলে যায় বলে কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আমরা পাইনি। তবে যারা আছে, তারাও ভালো ক্রিকেটার। তরুণ যারা আছে, ওরা রোমাঞ্চকর।'

মঙ্গলবার দুপুরে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে মুশফিকের ঢাকা খেলবে শান্তর মিনিস্টার গ্রম্নপ রাজশাহীর বিপক্ষে। সোমবার সকালে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে অনুশীলন সেরে মুশফিক জানান, যে চিন্তা থেকে এবার দলের ভার নিয়েছেন তিনি, 'অধিনায়কত্বের ব্যাপারটা অনেক সময় নির্ভর করে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা কী চায়। প্রেসিডেন্টস কাপ বা অন্যান্য সময় বোর্ডের অধীনে তারা মনে করে, তরুণ কিছু খেলোয়াড় আছে তাদের সুযোগ দিলে ভবিষ্যতে ভালো হতে পারে। এখন তারা মনে করেছে যে আমি হয়তো সঠিক ব্যক্তি যে গাইড করতে পারে। এই জন্যই নেওয়া আসলে। এটাও একটা চ্যালেঞ্জ অধিনায়ক হিসেবে নাম্বার ওয়ান করা। ইনশালস্নাহ সেই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত। আমার দলে যারা আছে তারা যদি সমর্থন করে, এটা অসম্ভব না।'

মুশফিক জানান, নিজেকে জাতীয় দলে অধিনায়কত্বের ভূমিকায় আর দেখছেন না তিনি। তাই তার মতে সম্পূর্ণ বিসিবির তত্ত্বাবধানে কোনো টুর্নামেন্টে তরুণ কাউকে বাজিয়ে দেখা উচিত। যাদের আসলে আগামীতে জাতীয় দলে অধিনায়কত্ব করার সম্ভাবনা আছে, 'জাতীয় দল বা অন্যান্য দলে যেটা হয় অনেক তরুণ খেলোয়াড় থাকে, যদের হয়তো ভবিষ্যতের অধিনায়কত্বের জন্য চিন্তা করা হয়। যেহেতু আমার জাতীয় দলে করার (অধিনায়কত্ব) চান্স নাই বলে আমি অনুভব করি। সেদিক থেকে মনে করি ভালো হয় যাদের চান্স আছে (অধিনায়কত্বের) জাতীয় দলে, তাদের এরকম টুর্নামেন্টে অভিজ্ঞতা নেওয়াটা ভালো হয়। তরুণ খেলোয়াড়রা যত দায়িত্ব নিবে তাদের দায়িত্ব বাড়বে। এখন যেহেতু এটা একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি বেসড। তারা চেয়েছেন, তাদের আমি চেষ্টা করব ব্যক্তি ও অধিনায়ক হিসেবে প্রতিদান দেওয়ার।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে