নভেম্বরে খেলতে বাংলাদেশে আসছে নেপাল

'আমরা নেপালকে দুটি ম্যাচ খেলতে ঢাকায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তারা খেলতে সম্মত হয়েছে। তারা সরকারের কাছ থেকে অনুমতিও নিয়েছে। তবে ম্যাচ দুটি কবে কবে হবে সেটা এই সপ্তাহে চূড়ান্ত হবে। করোনার কারণে ফ্লাইট সিডিউলের বিষয় আছে, কোয়ারেন্টিনের বিষয় আছে। সবকিছু বিবেচনা করেই তারিখ ঠিক করব। তারপর কোচ জেমিকে ঢাকায় আসতে বলব অনুশীলন শুরু করতে।' মো. আবু নাইম সোহাগ বাফুফে সাধারণ সম্পাদক

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
নভেম্বরে ফিফা উইন্ডো কাজে লাগাতে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। প্রীতি ম্যাচ খেলতে শ্রীলংকা ও নেপালকে প্রস্তাব দিয়েছিল বাফুফে। আগামী মাসে ঢাকায় দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে রাজি হয়েছে হিমালয়ের দেশটি। শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পক্ষ থেকে এক বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আগামী ১১ থেকে ১৯ নভেম্বর ফিফা উইন্ডোতে ঢাকায় এসে দুটি ম্যাচ খেলতে রাজি হয়েছে নেপাল। ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-নেপালের ম্যাচ দুটি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বাফুফে সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে চলতি সপ্তাহেই উভয় দেশের ফুটবল ফেডারেশন আলোচনার মাধ্যমে ম্যাচের তারিখ, নেপাল জাতীয় দলের ফ্লাইট শিডিউল, কোয়ারেন্টিনসহ আনুষঙ্গিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, 'আমরা নেপালকে দুটি ম্যাচ খেলতে ঢাকায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তারা খেলতে সম্মত হয়েছে। তারা সরকারের কাছ থেকে অনুমতিও নিয়েছে। তবে ম্যাচ দুটি কবে কবে হবে সেটা এই সপ্তাহে চূড়ান্ত হবে। করোনার কারণে ফ্লাইট সিডিউলের বিষয় আছে, কোয়ারেন্টিনের বিষয় আছে। সবকিছু বিবেচনা করেই তারিখ ঠিক করব। তারপর কোচ জেমিকে ঢাকায় আসতে বলব অনুশীলন শুরু করতে।' নেপালের ফুটবল ওয়েবসাইট গোল নেপাল ডটকমও শুক্রবারের এক প্রতিবেদনে আনফার বরাতে বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গোল নেপাল জানিয়েছে, আগামী ২৬ অক্টোবর নেপালের বৃহত্তম উৎসব দশাইন উৎসবের (বিজয়া দশমী) পরেই নেপাল ফুটবল দল অনুশীলন শুরু করবে। এর আগে আনফা বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের জন্য অনুশীলন শুরু করতে চেয়েছিল আগস্ট মাসে। কিন্তু কোভিড ১৯-এর কারণে নেপাল সরকার অনুশীলনের অনুমতি দেয়নি। মার্চ থেকে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফুটবলে নেই বাংলাদেশ। তাই জাতীয় দলের ফুটবলারদের শিগগিরই খেলায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য বাফুফের। শুধু তাই নয় বেশি বেশি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশেরর্ যাংকিং এগিয়ে নিতে চায় বাফুফের বর্তমান কমিটি। সালাউদ্দিন-সালাম প্যানেলের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রম্নতি ছিল এটি। আর তাই নতুন করে নির্বাচিত হবার কিছুদিনের মধ্যেই নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ নিশ্চিত করে ফেলেছে বাফুফের বর্তমান কমিটি। তবে অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (আনফা) সঙ্গে বেশ আগে থেকেই প্রীতি ম্যাচের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে আসছিল বাফুফে। কারণ নভেম্বরে একটা ফিফা উইন্ডো আছে সেটা তাদের জানাই ছিল। যেহেতু এ বছর আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই তাই এই সময়টাকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেটাই ছিল বাফুফের চিন্তার বিষয়। অবশেষে বাংলাদেশের সেই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে আনফা। বাংলদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ট্রেনিং নভেম্বর থেকে শুরু হবে সেটি আগেই ঠিক করে রেখেছিল বাফুফে। তবে আগে যে সময়টাতে ক্যাম্প করার চিন্তা-ভাবনা ছিল তার থেকে এগিয়ে আসতে হবে তাদের। কারণ ফিফা উইন্ডোতে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে গেলে ট্রেনিংটা আরও আগেই শুরু করতে হবে। এ বিষয়েও শিগগিরই সিদ্ধান্ত হবে বলে নিশ্চিত করেছে বাফুফে সূত্র। বর্তমানে বাংলাদেশের ফিফার্ যাংকিং ১৮৭তম। যেখানে নেপাল আছে ১৭০তম অবস্থানে। এই প্রীতি ম্যাচে ভালো ফলাফল করতে পারলে বাংলাদেশেরর্ যাংকিংটা কিছুটা এগিয়ে নিতে পারবে জেমি'ডের শিষ্যরা। সবশেষ জানুয়ারিতে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ জাতীয় দল। ২৩ জানুয়ারি বুরুন্দির বিপক্ষে হেরে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ থেকে ছিটকে পড়ে স্বাগতিকরা। জামাল ভূঁইয়া নেতৃত্বাধীন দলটির ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে নামার কথা থাকলেও করেনার কারণে দুই দফা পিছিয়ে সেগুলো আগামী বছরে নেওয়া হয়েছে।