আফিফের দুই রানের আক্ষেপ

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শনিবার মাহমুদউলস্নাহ একাদশের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করার পথে আফিফ হোসেন ধ্রম্নব বাউন্ডারি হাঁকানোয় তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। পরে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিকও -বিসিবি
জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে কেউ জ্বলে উঠতে পারেননি। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের এক ম্যাচে মুশফিকুর রহিম সেঞ্চুরি পেয়েছেন, আরেক ম্যাচে মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদ পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। আর বল হাতে মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও রুবেল হোসেন নিজেদের তুলে ধরেছেন। জাতীয় দলের তারকাদের পাশ কাটিয়ে ব্যাট হাতে তরুণরাই প্রাধান্য গড়ে তুলছেন। শনিবার ফিরতি ম্যাচেও জ্বলে উঠেছেন তরুণ ক্রিকেটার আফিফ হোসেন ধ্রম্নব। তবে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়েছেন তিনি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও মাত্র দুই রান দূরে থাকতে রান আউট হয়েছেন আফিফ। মাঠের চারদিকে বাহারি সব শটে ৯৮ রানে পৌঁছে যান আফিফ। তবে মুশফিকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার ১০৭ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১২টি চার এবং একটি ছক্কায়। আফিফ আউট হওয়ার পর ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণ করে ৫২ রানে আউট হয়েছেন মুশফিক। শুরুতে কয়েকটি উইকেট হারালেও মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেনের ফিফটিতে ভালো সংগ্রহ পেয়েছে নাজমুলের দল। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে নাজমুল একাদশের সংগ্রহ ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। সেবার জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল নাজমুল একাদশ। নাজমুল একাদশে এসেছে তিনটি পরিবর্তন। আগের ম্যাচের একাদশ থেকে জায়গা হারিয়েছেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, সাইফ হাসান ও নাঈম হাসান। তাদের পরিবর্তে দলে ঢুকেছেন পারভেজ হোসেন ইমন, আবু জায়েদ রাহি ও নাসুম আহমেদ। অন্যদিকে মাহমুদউলস্নাহ একাদশে এসেছে দুই পরিবর্তন। ওপেনার নাইম শেখ ও স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপস্নবের জায়াগায় সুযোগ পেয়েছেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয় ও স্পিনার রাকিবুল হাসান। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের চতুর্থ ম্যাচে শনিবার টস জিতে নাজমুল একাদশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় মাহমুদউলস্নাহ একাদশ। রাউন্ড রবিন লিগের ফিরতি ম্যাচে শুরুতেই তিন উইকেট হারালেও আফিফ ও মুশফিকের ব্যাটে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে নাজমুলের দল। প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিয়ে দলকে এরপর থেকেই এগিয়ে নেন মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন ধ্রম্নব। নাজমুল একাদশের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন সৌম্য সরকার ও পারভেজ হোসেন ইমন। চার বলে মাত্র ৮ রান করে রুবেলের বলে বোল্ড হন সৌম্য। পরের উইকেটও একইভাবে শিকার করেন এই পেসার। অধিনায়ক শান্তকে মাত্র ৩ রানে ফেরান এই ফাস্ট বোলার। মুশফিকের সঙ্গে জুটি বেঁধে বড় কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ইমন। তবে সুমন খানের ডেলিভারিতে এলবিডবিস্নউ হয়ে ফিরে যান তিনি। এর আগে ১৯ রান করেন এই ওপেনার। এরপরই শুরু হয় আফিফ হোসেন ধ্রম্নব আর মুশফিকের দারুণ ব্যাটিং। আফিফ অর্ধশতক পেরিয়ে শতকের পথেই থাকেন। ১২ চার আর এক ছয়ে পৌঁঁছে যান নব্বইয়ের ঘরে। কিন্তু শতক থেকে মাত্র দুই রান দূরে থাকতে রান আউটের ফাঁদে পড়েন এই বাঁহাতি। আফিফ করেন ১০৭ বলে ৯৮ রান। দুইজনের জুটি ভাঙে ১৪৭ রান তুলে। মুশফিকও তুলে নেন অর্ধশতক। গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ানকে ৫২ রানের মাথায় এবাদতের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। তবে ইরফান শুক্কুর তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন এই ম্যাচেও। ৩১ বলে খেলেন অপরাজিত ৪৮ রান। শেষ পর্যন্ত নাজমুল একাদশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২৬৪ রান। মাহমুদউলস্নাহ একাদশের হয়ে ৩ উইকেট নেন রুবেল হোসেন। ২ উইকেট নেন এবাদত হোসেন ও ১টি উইকেট নেন সুমন খান।