টিম হোটেল ছাড়লেন মুশফিক-মুমিনুলরা

নতুন সিদ্ধান্ত মোতাবেক সবকিছু অনুকূলে থাকলে অক্টোবরের শুরুর দিকে শ্রীলংকা যেতে পারেন টাইগাররা। এ মুহূর্তে অনুশীলন না থাকায় জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে নিজ ঘরে ফিরেছেন মুমিনুলরা -বিসিবি

শ্রীলংকা সফর নিয়ে চলছে গড়িমসি। এখনো অনিশ্চিত টাইগারদের লংকা সফর। তবে সফর শুরুর আগে নিয়ম অনুযায়ী বায়ো বাবল প্রটোকলে থেকে অনুশীলনের জন্য ২৭ সদস্যের দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। লংকান সরকারের কোভিড-১৯ প্রটোকল নিয়ে অনড় অবস্থানের কারণে এখন সফর নিয়েই জেগেছে শঙ্কা। করোনা মহামারির এই সময়ে খেলা শুরুর প্রধান শর্তই হচ্ছে খেলোয়াড়দের বায়ো-সিকিউর বাবলের মধ্যে রাখা। শ্রীলংকা সফরের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলও ঢুকে পড়েছিল জৈব-নিরাপত্তার বেষ্টনীর মধ্যে। কিন্তু সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা না কাটায় শেষ পর্যন্ত সুরক্ষা বলয় ভেঙে পড়ছে। জাতীয় দলের অনুশীলন তিন দিনের জন্য বন্ধ রেখেছে বিসিবি। টিম হোটেল সোনরাগাঁও ছেড়ে টাইগাররা ফিরে গেছেন নিজ বাসায়। কয়েকজন ক্রিকেটার থাকবেন বিসিবির একাডেমিক ভবনে। বিসিবি চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, 'তিন দিনের ছুটির কারণে কিছু ক্রিকেটার শনিবারই হোটেল ছেড়েছেন। রোববার চেক আউট সময়ে কয়েকজন হোটেল ছাড়েন। কে কখন হোটেল ছাড়বেন সেটি তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে। সিরিজ নিয়ে পরবর্তী আপডেট পেলেই জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে নতুন করে ভাবা হবে।' বলা হয়েছে তিন দিনের বিরতি। তবে তিন দিন পর আবারও টিম হোটেলে বায়ো বাবল প্রটোকলে থেকেই অনুশীলন হবে কি না- এমন প্রশ্নে ডাক্তার দেবাশীষ বলেন, 'হঁ্যা, এভাবেই শুরু হবে অনুশীলন। আগামী ৩০ তারিখে ক্রিকেটাররা আবারও হোটেলে উঠবেন। এক্ষেত্রে নতুন করে করোনা পরীক্ষা ও নতুন করে বায়ো বাবল প্রটোকল শুরু হবে।' বাংলাদেশ দলের শ্রীলংকা যাওয়ার কথা ছিল ২৭ সেপ্টেম্বর। সে অনুযায়ীই হোটেল বুকিং দিয়ে রেখেছিল বিসিবি। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবারই ছিল টাইগারদের শেষ অনুশীলন। সফর পিছিয়ে যাওয়ায় প্রাথমিক দলের ২৭ ক্রিকেটার বিশ্রামে থাকবেন মঙ্গলবার পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে শ্রীলংকা সিরিজের ভাগ্য। যদি সফর না হয় তাহলে কী করবেন মুমিনুল-মুশফিকরা, এ প্রশ্নের জবাবে বিসিবির পরিচালক আকরাম খান বলেন, 'আমরা তো পরিকল্পনার মধ্যেই আছি। এখন তিন দিনের বিরতি দিয়েছি, এই তিন দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত এলে আমরা আবার অনুশীলন নিয়ে পরিকল্পনা করব।' করোনা পরীক্ষায় উতরে যাওয়া ১৮ ক্রিকেটার ২০ সেপ্টেম্বর উঠেছিলেন টিম হোটেলে। পরে মিরপুরের একাডেমি ভবনে আইসোলেশনে থাকা কয়েকজন ক্রিকেটারও যোগ দেন দলীয় বলয়ে। আবু জায়েদ রাহি ছাড়া তৃতীয় ধাপের কোভিড-১৯ টেস্টে নেগেটিভ হন অবশিষ্ট ২৬ ক্রিকেটার।