যায়যায়দিন : হ্যান্ডবলের বর্তমান কী অবস্থা? সামনে কি কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আছে?
কোহিনুর : করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধু হ্যান্ডবলই নয় অন্য সব খেলারও আন্তর্জাতিক প্রায় সব প্রতিযোগিতাই বন্ধ। কবে নাগাদ শুরু হবে সেটাও কেউ জানে না। চেষ্টা সবাই করে যাচ্ছে। সবকিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উপর।
যায়যায়দিন : ঘরোয়া কোনো টুর্নামেন্ট কি এর মধ্যে আয়োজন করেছিলেন? অথবা সামনে কী কী টুর্নামেন্ট আছে?
কোহিনুর : হ্যান্ডবলে যেহেতু বডি কন্টাক্ট বেশি হয় তাই এখানে বেশ সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। তাই এর মধ্যে কোনো ধরনের টুর্নামেন্টই করা হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট না থাকলেও ঘরোয়া টুর্নামেন্ট আয়োজন করার কথা আমরা চিন্তা করছি। এই আগামী সপ্তাহেই আমাদের নির্বাহী কমিটির সভা আছে। সেখানে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। ফেডারেশন কাপ শিগগিরই শুরু হবে। এ বিষয়ে ক্লাবগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
যায়যায়দিন : করোনা পরিস্থিতিতে ফুটবল, হকি, ক্রিকেটসহ বেশির ভাগ খেলাই মাঠে না থাকাতে খেলোয়াড়রা ফিটনেস হারাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আপনাদের ফেডারেশন কি খেলোয়াড়দের ফিটনেস রক্ষার্থে কোনো পরিকল্পনা নিয়েছে?
কোহিনুর : জাতীয় দলের ক্যাম্পটা ফান্ড পেলে শুরু করতে চাই। একটা সম্ভাবনা আছে বাজেট পাবার। এখন এ বছর পাব কি না জানি না। গত বছর পেয়েছিলাম। আর ফেডারেশন কাপ শুরু হবার আগে ক্লাবগুলো ক্যাম্প করবে।
যায়যায়দিন : জাতীয় দলের ক্যাম্পের জন্য কি এখনো কোনো ফান্ড পাননি?
কোহিনুর : আমাদের একটা বার্ষিক অনুদান জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে দেয়। মোট চার কিস্তিতে ১৫-১৬ লাখ টাকার মতো পাই আমরা। এবার এখনো সেটা পাইনি।
যায়যায়দিন : তাদের সঙ্গে কি যোগাযোগ করেছিলেন?
কোহিনুর : হঁ্যা। এখনো তারা এনএসসি বাজেট, ফেডারেশনের বাজেট শেষ করতে পারেনি। কোনো কোনো বছরে জাতীয় দলের ট্রেনিং বা বিগেনার্স ট্রেনিংয়ের জন্য সরকারি একটা ফান্ড থাকে। সেটা পেলেই ক্যাম্প শুরু করব।
যায়যায়দিন : জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু করলে করোনার বিষয়ে কি কোনো পদক্ষেপ নেবেন?
কোহিনুর : সেটা তো অবশ্যই থাকবে। করোনা পরীক্ষা করেই খেলোয়াড়দের ক্যাম্পে তোলা হবে। ক্যাম্প আমাদের এখানেই হবে। যেহেতু আমাদের ফেডারেশনের সবকিছুই আছে। নিজস্ব মাঠ, নিজস্ব ব্যায়ামাগার, নিজস্ব হোস্টেল সবই আছে এখানে। তাই বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।