বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ফিটনেস রক্ষার লড়াই করছেন রাব্বি

দেশের প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম একজন মান্নাফ রাব্বি। বাবা আব্দুল মোনায়েম পেশায় একজন কোচ হওয়াতে শৈশবেই ফুটবলের শুরু। একে একে বয়সভিত্তিক দলগুলোতে সেরা পারফর্ম করে একসময় অনূর্ধ্ব ২৩ জাতীয় দলেও নাম লেখান এই ফরোয়ার্ড। তবে সিনিয়র দলে বেশ কয়েকবার ডাক পেলেও মাঠে নেমে গোল করার স্বপ্নটা পূরণ হয়নি। সেই স্বপ্ন পূরণ করতে এই করোনাকালেও নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে ফিটনেস রক্ষার লড়াই করে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর এই ফুটবলার।
  ৩০ জুন ২০২০, ০০:০০
তরুণ ফুটবলারদের মান্নাফ রাব্বি

যায়যায়দিন : কোথায় আছেন? কেমন আছেন?

মান্নাফ রাব্বি : বর্তমানে যশোরে নিজের বাড়িতেই আছি। আলহামদুলিলস্নাহ ভালো আছি।

যায়যায়দিন : এই অবস্থায় ফিটনেস কীভাবে ধরে রাখছেন?

মান্নাফ রাব্বি : বাসায় একা একা যতটা সম্ভব চেষ্টা করে যাচ্ছি। কোর ট্রেনিং করি, স্কিপিং করি। বাসার পাশেই মাঠ আছে ওইখানে যাই- অনুশীলন করি।

যায়যায়দিন : আপনাদের ওইখানে করোনা পরিস্থিতি কেমন?

মান্নাফ রাব্বি : পরিস্থিতি তো খুব একটা ভালো না। এ কারণেই অনেক সাবধানে থাকি। বাসার বাইরে থেকে ফিরে কাপড় ধুয়ে ফেলি। হ্যান্ডওয়াস, স্যানিটাইজার, মাস্ক এগুলো এখন নিত্যসঙ্গী। অনুশীলনেও অন্য কাউকে সঙ্গে নেই না।

\হ

যায়যায়দিন : প্রিমিয়ার লিগে তো প্রায় ৫ বছর হলো। এমন কোনো আনন্দময় স্মৃতি আছে যেটা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে?

মান্নাফ রাব্বি : প্রিমিয়ার লিগে আমার প্রথম ম্যাচটাই ছিল রহমতগঞ্জের হয়ে ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে। ওই ম্যাচের শেষের দিকে বদলি হিসেবে নেমেই গোল করেছিলাম। ওই গোলের কারণে ম্যাচটা আমরা ২-২ গোলে ড্র করি। এটা ছিল খুব আনন্দের স্মৃতি।

যায়যায়দিন : প্রিমিয়ার লিগ তো বাতিলই হয়ে গেল। এর প্রভাব কতটা পড়েছে ফুটবলারদের ওপর?

মান্নাফ রাব্বি : লিগ বন্ধ হওয়ার প্রভাব পড়েছে আমাদের ফিটনেসের ওপর। খেলার মধ্যে থাকলে জাতীয় দলের জন্যও ভালো হতো। এছাড়া আর্থিক ক্ষতি তো হয়েছেই। আমরা চাই যেভাবেই হোক প্রিমিয়ার লিগটা আবারও মাঠে গড়াক। এটা সবার জন্যই ভালো হবে।

যায়যায়দিন : বর্তমানে যে পরিস্থিতি তাতে করে কি দর্শক নিয়ে লিগ শুরু সম্ভব বলে আপনি মনে করেন? যদি দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলতে হয়?

মান্নাফ রাব্বি : দর্শক না থাকলে তো অবশ্যই খারাপ লাগবে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশ যেভাবে খেলা মাঠে রাখছে, আমাদেরও তো সেভাবেই চলতে হবে। দর্শক থাকলে ভালো হয়। সবকিছুই নির্ভর করছে ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের ওপর।

যায়যায়দিন : বাবা একজন ফুটবল কোচ। তাহলে আপনার জীবনটা তো অন্যদের থেকে আলাদা ছিল। বাবার শাসনটা কি ফুটবল ঘিরেই?

মান্নাফ রাব্বি : তা তো একটু হয়ই। এই তো একটু আগেও আব্বু ডেকে দিয়ে বললেন অনুশীলনে যাও। ফুটবলে আসার পেছনে বড় অবদান বাবা-মায়েরই।

যায়যায়দিন : ক্লাব সতীর্থদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়?

মান্নাফ রাব্বি : ক্লাব সতীর্থদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। কোচ মারুফুল হক আমাদের বিভিন্ন সিডিউল দিয়ে দেন অনুশীলনের।

যায়যায়দিন : আপনার প্রিয় ফুটবলার কে?

মান্নাফ রাব্বি : প্রিয় ফুটবলার আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি। তার খেলা দেখে দেখেই বড় হয়েছি।

যায়যায়দিন : মেসি তো ঢাকায় এসেছিলেন। তার সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছে?

মান্নাফ রাব্বি : তখন তো বয়স অনেক কম ছিল। সেই সৌভাগ্য হয়নি। এখন এটা ভেবে একটু আফসোস হয়।

যায়যায়দিন : বর্তমান জাতীয় দলটা কেমন দেখছেন?

মান্নাফ রাব্বি : বর্তমান দলটা খুবই ভালো। করোনায় বর্তমানে কার ফিটনেসের কী অবস্থা তাতো বলতে পারব না। তবে আগে যে পারফরম্যান্স ছিল তাতে করে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পরবর্তী ম্যাচে অবশ্যই ভালো করা সম্ভব। পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারলে এই দলের পক্ষে সাফ জয়ও সম্ভব হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

যায়যায়দিন : দেশের জনগণের উদ্দেশে কিছু বলতে চান?

মান্নাফ রাব্বি : সবাইকে একটা কথাই বলব, সাবধানে থাকুন। ঘরে থাকুন। নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<104199 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1