বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১

জাতীয় দলের স্বপ্ন পূরণ হয়নি হামিদের

দেশের কাগজে কলমে বর্তমানে সব থেকে বড় দলটির নাম বসুন্ধরা কিংস। সেই ক্লাবে গোলরক্ষকের দায়িত্বে থাকা অন্যতম ফুটবলার হামিদুর রহমান রিমন। দেশের সেরা ক্লাবে নাম লেখালেও এখন পর্যন্ত সিনিয়র জাতীয় দলে না খেলতে পারার আক্ষেপটা আছে। তবে বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে (অনূর্ধ্ব-১৯) খেলেছেন ২০১৩ সালে। বাংলাদেশের পরবর্তী চার ম্যাচের মধ্যে ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভালো করতে পারবেন বলে বিশ্বাস হামিদের।
  ২৮ জুন ২০২০, ০০:০০
বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক হামিদুর রহমান রিমন -ওয়েবসাইট

যায়যায়দিন : কোথায় আছেন? কেমন আছেন?

হামিদ : আমাদের বাড়ি সিলেটে আছি। ক্লাব ছুটি হয়ে যাওয়ার পর থেকে এখানেই আছি। আলস্নাহর অশেষ কৃপায় ভালো আছি। সুস্থ আছি।

যায়যায়দিন : করোনাতে অনুশীলন কিভাবে করছেন?

হামিদ : দু'সপ্তাহ হলো মাঠে ট্রেনিং করতে যাচ্ছি। এর আগে তো সারাক্ষণ বাসাতেই কেটেছে। বাসায় ও ছাদে কোর ট্রেনিং, স্কিপিং করতাম। এখন অন দ্য বলে অনুশীলন করতে পারছি। জিম করছি।

যায়যায়দিন : আপনার নামে তো একজন খ্যাতনামা স্ট্রাইকার ছিলেন কায়সার হামিদ। তার সঙ্গে নাম মিলে যাওয়াতে কি কখনো স্ট্রাইকার হতে মন চায়নি? গোলরক্ষক হয়ে গেলেন কিভাবে?

হামিদ : আসলে খেলতে খেলতেই গোলরক্ষক হয়ে গেলাম। আমার চাচা শাকিল আহমেদ এখানকার স্থানীয় ফুটবলার। উনি আমার উচ্চতা ও খেলার ধরন দেখে বলেছিলেন, আমি গোলরক্ষক পজিশনে ভালো করতে পারব। এভাবেই একসময় অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দলের জন্য ট্রায়াল দেওয়া। এরপর গোলরক্ষক পজিশনে নিয়মিত খেলা।

যায়যায়দিন : বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে খেলেছেন। প্রিমিয়ার লিগে নাম লেখানোর আগে তৃণমূল পর্যায়ে খেলা হয়েছে?

হামিদ : আমি তৃতীয় বিভাগ ফুটবলে খেলেছি। দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলে দুই বছর খেলেছি। প্রিমিয়ার লিগে রহমতগঞ্জ দিয়ে শুরু। এরপর বসুন্ধরা কিংস।

যায়যায়দিন : রহমতগঞ্জ থেকে বসুন্ধরা কিংস। যাত্রাটা কিভাবে শুরু হলো?

হামিদ : বসুন্ধরার বিপক্ষে রহমতগঞ্জের হয়ে একটি ম্যাচ খেলেছিলাম। ওই ম্যাচে আমার খেলা হয়তো তাদের ভালো লেগেছিল।

যায়যায়দিন : আপনার প্রিয় ফুটবলার কে?

হামিদ : বাংলাদেশে আমার প্রিয় ফুটবলার ইমন বাবু (বসুন্ধরার স্ট্রাইকার)। বিদেশে মেসির খেলা খুব ভালো লাগে।

যায়যায়দিন : এমন কোনো স্বপ্ন আছে যেটা এখনো পূরণ হয়নি?

হামিদ : যেকোনো ফুটবলারেরই স্বপ্ন থাকে দেশের জার্সিতে সিনিয়র পর্যায়ে খেলার। সেই স্বপ্নটা এখনো পূরণ হয়নি। প্রত্যাশা আছে। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে ভালো করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করি, কোনো না-কোনো দিন সেই স্বপ্নটা পূরণ হবে।

যায়যায়দিন : সামনে তো জাতীয় দলের ম্যাচ। কোচের সঙ্গে কথা হয়েছে?

হামিদ : আমাদের হোয়াটসঅ্যাপের একটা গ্রম্নপ আছে। যেখানে জাতীয় দলের কোচ আমাদের কিছু রুটিন ও ট্রেনিং দিয়ে দেন। সেগুলো ফলো করি। ক্যাম্প কবে শুরু হবে কারা কারা জাতীয় দলে খেলবে সে বিষয়ে কিছু এখনো জানায়নি আমাদের।

যায়যায়দিন : বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে না খেললেও খেলা নিশ্চই দেখেছেন? পরবর্তী ম্যাচগুলো নিয়ে কতটা আশাবাদী?

হামিদ : বর্তমানে বাংলাদেশের যে টিমটি আছে তারা অনেক ভালো করছে। আমি মনে করি পরবর্তী ম্যাচগুলোর মধ্যে ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে পয়েন্ট পেতে পারি আমরা।

যায়যায়দিন : এই দুই দলই কেন? বাংলাদেশের কোন দিকটা দেখে আপনার এই বিশ্বাস হয়েছে?

হামিদ : আমি মনে করি আমরা এই দুই দলের সমপর্যায়ের টিমই। ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচগুলোই কিন্তু আমরা প্রায় জিতে যাচ্ছিলাম। এখন ঘরের মাটিতে ম্যাচ। হোম ম্যাচে আমরা আরও ভালো খেলব সেটা তো আশা করাই যায়। আমাদের নিজেদের মাঠ। নিজেদের দর্শক।

যায়যায়দিন : লিগ বাতিল হয়ে গেল। আপনি তো কিংসের একজন ফুটবলার। শিরোপা নিয়ে কতটা প্রত্যাশা ছিল?

হামিদ : গতবার বসুন্ধরা শিরোপা জিতেছিল। এবার প্রত্যাশাটা আরও বেশি ছিল। কারণ আমাদের এবারের টিমটা আরও বেশি ভালো হয়েছিল। কিন্তু এই ভাইরাসের ওপর তো আর কারও হাত নেই। লিগ বন্ধ হওয়াতে অবশ্যই সব ফুটবলারই হতাশ হয়েছে। কারণ আমরা সবাই ভেবেছিলাম লিগ স্থগিত হয়েছে। কিন্তু বাতিল হবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<103968 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1