বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

'মিশন গ্রিন বাংলাদেশ'র পিএমআই সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড অর্জন

মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর
  ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
'মিশন গ্রিন বাংলাদেশ'র পিএমআই সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড অর্জন
'মিশন গ্রিন বাংলাদেশ'র পিএমআই সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড অর্জন

বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রে সেরা সামাজিক প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে 'পিএমআই সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪' অর্জন করেছে পরিবেশবাদী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'মিশন গ্রিন বাংলাদেশ।'

সম্প্রতি রাজধানীর রেডিসন বস্নু ওয়াটার গার্ডেনে পিএমআই বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জমকালো অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। মিশন গ্রিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান রনি এবং প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ আবুল বাশার মিরাজ এই পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।

জানা গেছে, প্রায় ৫৫ বছর পূর্বে (১৯৬৯ সালে) যাত্রা শুরুর পর থেকেই পৃথিবীর সেরা সেরা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে পিএমআই। বর্তমানে পৃথিবীর ১৮০টি দেশে ৩০৪টি চ্যাপ্টার নিয়ে কাজ করছে পিএমআই।

বাংলাদেশ চ্যাপ্টার থেকে আয়োজিত সিম্পোজিয়াম ও অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন- ইউনিলিভার বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাভেদ আখতার, পিএমআই সাউথ এশিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর অমিত গোয়েল, এভারেস্টজয়ী বাবর আলী, পূবালী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আলী, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়রা আজম, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়্যারমান মমিনুল ইসলাম, পস্ন্যান ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোসসহ পিএমআই-এর আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মেম্বারসহ দেশের সরকারি ও বেসরকারি নানা প্রজেক্টের প্রতিনিধিরা।

পুরস্কার গ্রহণের পর আহসান রনি বলেন, 'বাংলাদেশের পরিবেশের চরম বিপর্যয় থেকে রক্ষার প্রত্যয় নিয়ে আমাদের এই যাত্রা। এ জন্য আমরা শুরু থেকেই পরিবেশ বিষয়ে সলু্যশন বেজড কাজ করার চেষ্টা করেছি। সারদেশে এক দিনে ৫৩ জায়গায় গাছ লাগানোও সেই চেষ্টার প্রাথমিক ধাপ। ক্রমে ক্রমে আমরা সারাদেশে ২ শতাধিক বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। একটি ইয়ু্যথ অর্গানাইজেশন হয়ে এ রকম বিশাল আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্যও বড়ই গর্বের। দেশের পরিবেশের কল্যাণ কাজ করে দেশি-বিদেশি বড় বড় প্রতিষ্ঠান ও প্রজেক্টকে পেছনে ফেলে এ রকম আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড পাওয়া আমাদের জন্য অনেক বেশি সম্মানের। এই অর্জন প্রমাণ করে তরুণরা চাইলে নিজেদের উদ্যম দিয়ে পৃথিবীর সেরা সেরা অর্জন জয় করতে পারে। মিশন গ্রিন বাংলাদেশ সামনে আরও বড় বড় আয়োজনের মাধ্যমে দেশের পরিবেশের কল্যাণই আমাদের মূল লক্ষ্য।'

এ সময় কৃষিবিদ আবুল বাশার মিরাজ বলেন, 'আমাদের বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুধুমাত্র পরিবেশ সংরক্ষণে সীমাবদ্ধ নয়। এটি একটি বৃহত্তর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে-ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রম্নতি। পরিবেশ দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মতো বড় চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হলে আমাদের এ ধরনের কার্যক্রমের কোনো বিকল্প নেই। এই পুরস্কার শুধু আমাদের কাজের স্বীকৃতি নয়, বরং এটি আমাদের ভবিষ্যতের সবুজ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরের জন্য আরও উদ্যম এবং অনুপ্রেরণা জোগাবে।'

এর আগে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস, বায়ুদূষণ প্রতিরোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কার্যকরী ভূমিকা রাখাসহ ইউনাইটেড নেশনসের এসডিজি গোল অর্জনে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ব্রান্ড ফোরাম ও বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভ আয়োজিত 'এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড ২০২৪' ও লাভ করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে