শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এসএসসির এক মাস কোচিং সেন্টার বন্ধ

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:২৫
ডা. দীপু মনি

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রম্নয়ারি এক মাস সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আসন্ন পরীক্ষা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী সাহাবুদ্দীন আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আগামী ১ ফেব্রম্নয়ারি থেকে ২২ ফেব্রম্নয়ারি এসএসসি, ২৬ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত দাখিল এবং ২৭ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মাধ্যমিক স্তরের এ পরীক্ষায় অংশ নেবে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন। এর মধ্যে এসএসসিতে ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ জন, দাখিলে দুই লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন এবং এসএসসি ভোকেশনালে অংশ নেবে এক লাখ ৩১ হাজার ২৮৫ শিক্ষার্থী। সম্পূর্ণ নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার বিষয়ে দীপু মনি বলেন, বিদেশি বোর্ডের ও লেভেল-এ লেভেল, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং, বিসিএসসহ অনেক ধরনের কোচিং সেন্টার আছে, এগুলোর বাইরে আলাদা কোচিং হলে একেবারে বন্ধ করা অনেক সহজ হতো। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে একই ছাদের নিচে একই প্রতিষ্ঠানে নানা রকম কোচিং হয়। কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠানের কারণে সব কোচিং বন্ধ রাখার কারণ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তারা কোচিংয়ের চেহারার মধ্যে থেকে প্রশ্ন ফাঁস, নকল সরবরাহ এবং নানা রকম অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রমাণিত হওয়ার কারণে আমাদের এ পদক্ষেপ (সব কোচিং বন্ধ) নিতে হচ্ছে। সে কারণে বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। কোচিং সিস্টেমকে পুরোপুরি নিয়মের মধ্যে আনলে হয়তো আগামী পাবলিক পরীক্ষা থেকে ভিন্ন কিছু দেখতে পাব। কোচিং বিধিমালা অনুযায়ী কোনো শিক্ষক বাইরে নিজের শিক্ষার্থীকে পড়াতে পারবেন না জানিয়ে দীপু মনি বলেন, আমরা নীতিমালা হালনাগাদ করছি। এ বিষয়টি শিক্ষা আইনে যুক্ত করা হচ্ছে। আগামী এক-দু'মাসের মধ্যে স্কুলে ভালো পড়াশোনা করালে কোচিংয়ে যেতে হতো না বলে যে অভিযোগ তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্কুলে যেন পড়ালেখা ভালো হয় সেজন্য পড়ালেখা ও পরীক্ষার অতিরিক্ত চাপ, নিরানন্দ শিক্ষাজীবন, শিক্ষকদের অনুপস্থিতি, যুযোপযোগী কারিকুলাম করে মানসম্মত শিক্ষার জন্য আমরা কাজ শুরু করেছি। ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য তিনটি বিষয়ের পরিবর্তে আরও বৃদ্ধি করা হবে যাতে চাপ কমে আসে। অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে দীপু মনি বলেন, কোনোভাবে কেউ যেন প্রশ্ন ফাঁসের গুজবে কান না দেন। কিছু কিছু প্রতারক চক্র বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রশ্ন ফাঁসের গুজব রচনা করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা আদায় করবার চেষ্টা করে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা, বিটিআরসিসহ অন্যান্য সংস্থা তীক্ষ্‌ণ নজরদারি করছে। যে কোনো প্রতারক চক্রকে ধরে আইনের হাতে সোপর্দ করব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে