শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই বিএনপির চিঠি: তথ্যমন্ত্রী

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ০০:১৫
সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ -যাযাদি

রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি ও জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই বিএনপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, দলটি ভারতবিরোধী রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি তা বোঝাতে চেয়েছে ওই চিঠিতে। পাশাপাশি, জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই তারা প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে অবান্তর প্রশ্ন তুলে চিঠি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজ করেননি। সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে 'প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিএনপির পত্র' বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রী বরাবর দেওয়া হয়েছে, যেটা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপস্নব বড়ুয়া গ্রহণ করেছেন। প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দিয়েছেন। সেখানে কোনো জায়গায় খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি নেই। একটি শব্দও নেই তার সম্পর্কে। সেখান থেকে প্রশ্ন জাগে, বিএনপি বেগম জিয়ার মুক্তি চায় কি না। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও শারীরিক অবস্থা নিয়ে যে কথা বলে, সেগুলো নিছকই জনগণকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কিছু নয়। তবে, তারা যে চিঠি দিয়েছে, সেটা হলো সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়েছিলেন, সেখানে যে চুক্তিগুলো হয়েছিল সে বিষয় নিয়ে। তাদের ভাষ্য, সে সফরে নতুন কোনো চুক্তি হয়নি। ভারতে যেগুলো হয়েছে, সেগুলো হলো এমওইউ। অথচ, বিএনপির মতো একটি দল চুক্তি ও এমওইউর পার্থক্য বুঝতে পারেনি, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো সফর শেষে ফিরে প্রধানমন্ত্রী তা রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করবেন। বরাবরের মতো ভারত সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী তা করেছেন। এমনকি, তিনি সংবাদ সম্মেলন করেও ভারত সফরের বিস্তারিত গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশবাসীকে বলেছেন, সংসদে ব্যাখা দিয়ে বলেছেন। কিন্তু, বিএনপি যে চিঠি দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, এসব কাজ প্রধানমন্ত্রী করেননি। বিএনপির চিঠি অন্তঃসারশূন্য। এই চিঠি দেওয়া রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি ছাড়া আর কিছু না। পাশাপাশি, তারা ভারতবিরোধিতা থেকে বেরিয়ে আসেনি, সেটা বোঝানোর জন্য এই চিঠি দিয়েছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'ফেনী নদীর পানির প্রবাহ হচ্ছে আটশ কিউসেক। এর মধ্যে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক তারা খাবার পানি হিসেবে নেবে, যা চারশ ভাগের এক ভাগ। সে পানি তারা এখনো নিচ্ছে। সেটাকে আমরা একটি ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে নিয়ে আসতে চাচ্ছি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে