আজকের যায়যায়দিন

ছুটির দিনে শুক্রবার জমে ওঠে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। এদিন সকাল থেকে মেলার স্টলে স্টলে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিক্রির পরিমাণ অনেক বেড়েছে। মেলার আয়োজকরা জানিয়েছেন, প্রত্যাশার তুলনায় বেশি লোক সমাগম হয়েছে।

শুক্রবার মেলা ঘুরে দেখা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহার্য ও গৃহস্থালি পণ্যেরই চাহিদা বেশি। মেলার বিভিন্ন দোকানে ১৩০ টাকায় ক্রোকারিজ পণ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন অ্যালমুনিয়ামের বাসনের দোকানে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন মার্কেট ও শোরুমে নিত্যপণ্যের দাম বেশি। এছাড়া নকল ও নিম্নমানের পণ্যের ভয় আছে। কিন্তু বাণিজ্যমেলায় পণ্য বিশেষ ছাড়ে পাওয়া যায়। তাই খরচ কমাতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বেশি কিনছেন। বিলাসবহুল বা কম প্রয়োজনীয় পণ্য কম কিনছেন বলে জানান বিক্রেতারা।

মেলায় পস্নাস্টিকপণ্যের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন নারী-পুরুষসহ সব বয়সি ক্রেতারা।

রাজধানীর শাহবাগ থেকে মেলায় এসেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা হাসন সিদ্দিক। তিনি বলেন, মেলায় দরকারি জিনিসটিই সবাই কিনতে চায়। আর আরএফএল এর পণ্য টেকসই, আবার কিছু ছাড়ও রয়েছে। তাই এখান থেকে চায়ের কাপ থেকে শুরু করে গৃহস্থালির প্রায় সব পণ্য কিনেছি।

১৩০ টাকায় হরেক রকমের পণ্য মিলছে 'আলস্নাহর দান' নামের একটি স্টলে। এর বিক্রয়কর্মী সোহেল বলেন, সবকিছুর দাম বেশি। এরমধ্যে আমরা মাত্র ১৩০ টাকায় খেলনাসহ ক্রোকারিজ আইটেম বিক্রি করছি। আজকে অনেক মানুষ এসেছে। সাড়াও ভালো।

কিয়াম ও দিলিস্ন অ্যালমুনিয়ামের প্যাভিলিয়নে মিলছে প্রেসার কুকার, হাড়ি, বাসন, টিফিন বক্স। কিয়ামের বিক্রিয় কর্মী আলমগীর বলেন, আমরা কোনো মূল্যছাড় দিচ্ছি না। আমাদের পণ্য অথেনটিক, এজন্য খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি।

এছাড়া জয়িতাসহ বেশ কয়েকটি পোশাকেরও স্টল দেখা গেছে। এখানেও ছিল মানুষের ভিড়।

জয়িতার বিক্রয়কর্মী সৌরভ হোসেন বলেন, ঘর সাজানো নানা উপকরণ, শতরঞ্জি বিক্রি হচ্ছে বেশি। আমরা কোনো ডিসকাউন্ট দিচ্ছি না, তবে পণ্যের দাম বেশি রাখছি না।

গতবারের মতো এবারও ঢাকার পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় যাতায়াতের জন্য রয়েছে বিআরটিসি বাসের সুবিধা। তবে এবার ১০০টিরও বেশি বিআরটিসি বাস থাকছে। ছুটির দিনে চলাচল করছে ২০০ বাস।

এ বছর সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা এবং ১২ বছরের কম বয়সিদের জন্য ২৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৪০ ও ২০ টাকা।