রিহ্যাব মেলা

মধ্যবিত্তের ফ্ল্যাট মিরপুরে মিলছে ৫০ লাখে

প্রকাশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তজাির্তক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত রিহ্যাব মেলায় শুক্রবার ছিল দশর্নাথীের্দর ভিড় Ñযাযাদি
রাজধানীতে একচিলতে মাথা গেঁাজার ঠঁাইয়ের দর দিনদিন বেড়েই চলেছে। মানুষের আয় বাড়লেও দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বর্গতিতে ফ্ল্যাট, বাড়ি বা একটুখানি নিজের আবাসের স্বপ্ন যেন অধরাই থেকে যাচ্ছে। অনেকটা নুন আনতে পান্তা ফুরানোর জোগাড়। অভিজাত এলাকাগুলোর দিকে নজর দিতেই পারেন না বেশির ভাগ মানুষ। আর নিম্নবিত্তের চোখ তো নিচ থেকে ওপরে তোলাই রীতিমতো সাহসের ব্যাপার। এদিক থেকে সুবিধা আছে কিছুটা মধ্যবিত্তের। এখনো তাদের জন্য রাজধানীর কিছু এলাকায় তৈরি হচ্ছে ফ্ল্যাট। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তজাির্তক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত রিহ্যাব মেলায় গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানি এখানে নানা রকম অফার নিয়ে স্টল সাজিয়েছে। তারা বলছে, অভিজাত এলাকাগুলোয় ফ্ল্যাটের দাম কোটি টাকার ওপরে। তবে মধ্যবিত্তদের জন্য আছে মিরপুর, খিলগঁাও ও গোপীবাগের মতো এলাকায় ফ্ল্যাট। কোম্পানিগুলো মধ্যবিত্তের জন্য ৫০ লাখের কমেও ফ্ল্যাট দিচ্ছে। এক্ষেত্রে ৯শ’ থেকে ১১শ’ বগর্ফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে। মাস্টার বিল্ডার লিমিটেডের সেলস এক্সিকিউটিভ আলাউদ্দীন জানান, মেলা উপলক্ষে তারা ১০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছেন। তাদের সব রেডি ফ্ল্যাট। মিরপুর-১ নম্বরে চিড়িয়াখানা রোডে ৮শ’ থেকে ১১শ’ বগর্ফুটের তাদের ফ্ল্যাটের দাম বগর্ফুট প্রতি ৩ হাজার ৬শ’ টাকা। পূবর্ কাফরুলের বগর্ফুট প্রতি ফ্ল্যাটের দাম ৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া মাটিকাটায় ৬ হাজার টাকা প্রতি বগর্ফুট মূল্যের ফ্ল্যাট দিচ্ছে তারা। এক্ষেত্রে ২০ লাখ টাকা ডাউন পেমেন্ট দিতে হবে। পারটেক্সের ম্যানজার মো. সায়েম খন্দকার বলেন, হাতিরঝিলে ১৩ থেকে ১৫শ’ বগর্ফুটের ফ্ল্যাটে বগর্ফুট প্রতি দাম ধরেছেন ১১ হাজার ২শ’ টাকা, বানানীতে ১৩শ’ বগর্ফুটের ফ্ল্যাটে প্রতি বগর্ফুটে ১৮ হাজার ৫শ’ টাকা, উত্তরায় ৮শ’ বগর্ফুটের প্রতি ২১ থেকে ২২ হাজার টাকা আর খিলগঁাও এবং গোপীবাগে ৪ হাজার ৮শ’ টাকা থেকে ৫ হাজার ৫শ’ টাকা প্রতি বগর্ফুটের দাম ধরেছেন। এ দুই এলাকায় ফ্ল্যাট আছে ১১শ’ থেকে ১৩শ’ বগর্ফুটের। মেলায় আগত ক্রেতা-দশর্নাথীর্রা বলছেন, ছোট আকারের ফ্ল্যাটের প্রতিই আগ্রহ বেশি। যেহেতু সাধ্যের মধ্যে পরিকল্পনা তাই অনেকেই খুঁজছেন মিরপুর, খিলগঁাও ও বাসাবোর দিকেই। তবে অভিজাত এলাকার চাহিদা যে কম তাও নয়। ব্যবসায়ী আরমান হোসেন বলেন, অধের্কাটি পযর্ন্ত সাহস করা যায়। ছোট একটা দোকান চালিয়ে যে টাকা জমিয়েছি, তাতে ডাউন পেমেন্ট দিয়ে চলতে পারব। এক্ষেত্রে ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে পারা যাবে না। উত্তরার ফ্ল্যাটের খেঁাজ করছিলেন চৌধুরী রুকনুজ্জামান। তিনি বলেন, সবই তো কোটি টাকার ওপরে। দেখি কী করা যায়। তিনি মনে করেন, ব্যাংকঋণ আরও সহজ হওয়া উচিত।