দুপুরের উদাস হাওয়ায় দুলছে বৃক্ষলতা
উড়ছে গৃহিণীর শাড়ির আঁচল,
পাতাকুড়ানি কিশোরীর এলোমেলো চুল...
পাখিদের সংস্পর্শে অবিরাম ঝরছে-
ফাল্গুনের নয়ন জুড়ানো শিমুল ফুল
যেন মাটির বুকে রক্তাক্ত পদচিহ্ন।
ভরদুপুরে তুমি ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলে
দেবকাঞ্চন ফুল বাগানের সম্মুখে
খোঁপায় দেখেছিলাম একটি গাঁদা
এমন মায়াবী রূপ দর্শনে উন্মাদ, দিশাহারা!
এ কি নিসর্গ নাকি কোনো রমণী?
আজও খোঁজে পাইনি কোনো প্রভেদ।
তোমায় ঘিরে ফুটে আছে-
শিমুল, পলাশ, জুঁই, মাধবীলতা
যেন বাসন্তী রঙে সজ্জিত চারপাশ
এমন রাঙানো প্রকৃতি আর রূপসজ্জা
বারবার জানান দেয়-
এই তো- দুয়ারে বসন্ত এসে হাজির।