নিঝুম রাতের ধূমায়িত অন্ধকারে আমের বোল
ঝরে পড়ে নিঃশব্দে অলিখিত আলপনায়,
আপন বৃক্ষপত্রগুলো নীরবচারী হয়ে দেখে
নিটোল চাঁদের জলসায় ঢোলকলমির বেগুনি পাপড়ি
ঝরে রুপালি জোছনায়।
কেন উষ্ণ জলে ক্লান্ত বাষ্প চলে যায় নিমিষে
একাকী হাওয়া ঘরে?
গাংপথে বিধ্বস্ত অক্ষরে লিখে দিলে একটি নাম: ফেরা!
মনে হয় কত পর; তবু যেন এতকাল ছিল কাছে।
স্বল্পায়ুর তপ্ত ঘাম যেমন ঝরে আপন শরীর থেকে
তেমনই চিরকালের বন্ধন ছিন্ন করে অঙ্গীকার ভেঙে নিয়ে যায় আমাকে অসীম গহ্বরে,
না-ফেরার বাহনে প্রাণবায়ু জমা দিয়ে
বিষাদান্তে আইঢাই করে শেষ সত্যকে আলিঙ্গনে
চিরনিদ্রায় ডুবে যাই আমের বোলের মাটিতে।
কেউ কি যাবে সাথে এই কালস্রোতের অববাহিকায়?
আত্মায় মাখানো সম্পর্ক নিশ্চুপ হার মেনে
অশ্রম্নবারিতে তাকিয়ে রয় মুখপানে।