আজ নবান্নে সেজেছ কি তুমি কৃষাণি
হাতে মেহেদী, আলতায় পা?
তোমার উঠোনে এখন নাচে না ঢেঁকি
তবু আসে নবান্ন পিঠে-পুলিতে।
নতুন ধানের গন্ধ ঠিক তেমনি আছে
তবে নেই অন্যসব।
চোখে কাজল আঁক না এখন আর
ব্রম্নপেনের আঁচড়ে বদলাও তোমাকে,
কুপিতে ধৈর্য ধরে কাজল পাতা!
সেসব হারিয়ে গেছে কালের গর্ভে
তবু চলে পিঠে উৎসব।
ঢেঁকির শব্দে মুখরিত রাতগুলোয়
উৎসবের গভীরতা ছিল খাঁটি
কুঁপির ঢিমঢিমে আলোয় তোমাকে
অনেক সুন্দর আর স্নিগ্ধ দেখাত
সেই তো ভালো ছিল আলো আঁধারিতে
আজ বিজলির আলোয় সব ফিকে
তেমনি তোমার বানানো নকশি পিঠেও
আমি ভালোবাসি পুরনো সেই তুমিকে
যতই সাজাও আর আধুনিক কর তোমাকে।