দিঘল জোছনায় ফুটে থাকা আলোয় আলোয় ভেসে যায় চরাচর
কার জন্য অবিরাম বর্ষণ এই আলোর প্রপাতের ক্লান্তিহীন অভিযান
নির্দিষ্ট কারোর প্রতি এই করুণা ধারায় লেখা নেই নাম
শুধু যারা আবেগের চাষ করে ফলায় বিশেষ এক মনন ফসল
তাদের জন্যই ফেরি করা আশীর্বাদ ডেকেছে নিলাম
মনোজগতের পুরোটাই যাদের দখল হারিয়েছে
ফতুর তাদের- নাই কিছু হারাবার
আর যারা ঢেউহীন নদীর মতন শান্তশিষ্ট অবয়বে
ফুটিয়ে রাখেন স্নিগ্ধতার সুতোয় বোনা আশ্চর্য নীরবতা
তাদের হাতেই অমৃতের প্রতুল ভান্ডার
কুলকুল বয়ে চলা নদী- সান্ধ্য প্রদীপের আলো
ছুড়ে ফেলে তারার সাথে মিতালি
গায়ে মেখে রৌদ্রের সতেজ ঘ্রাণ
বিকেলের কোনো এক সময়ে কর্মব্যস্ততা লজ্জায় লুটিয়ে পড়ে
নাগরিক কবির কাব্যের বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠে
দিনের শুরুটা- দুপুরের দীপ্র আলোর ঝলকানি
বিকেলের মনমরা স্বভাবের কাছে নতজানু আশাবাদ
দুহাত বাড়িয়ে বলে দেয় আর নিলামের প্রয়োজন নেই
উটকো সব দলবেঁধে পাড়া জাগানোর কাজে শামিল হয়েছে বলে
নিম্নবর্ণের সবাই এসে খুলে দিয়েছে উদার হাত
ফাঁকে যদি নিতে পারে শেষ মোনাজাত
এইভাবেই একদা নিষ্ঠুুর নিয়তি ধীরে ধীরে ফিরে আসে পাটে বসে
নসিহত রেখে যায় আমাদের প্রতি।