খুচরো ধাতব মুদ্রা আমার কাছে থাকে না
কাগুজে নোট দিয়েই সাধারণত বাসভাড়া দিয়ে থাকি
সেখান থেকে রেজগি ফেরৎ এলে
সেগুলো বাসায় ঢুকে ড্রেসিং টেবিলের ওপর রাখি
আর আমার স্ত্রী তুলে নিয়ে মাটির ব্যাংকে জমা করে
অভাবের সংসারে সেটাও কাজে লাগে
আমি বাসভাড়ায় কাগুজে নোট দিলে
একটি মেয়ে নোংরা সেই নোটের দিকে তাকিয়ে থাকে
সে তার পার্স থেকে খুচরো পয়সা বের করে ভাড়া দেয়
প্রতিদিন কিংবা প্রায় প্রতিদিন এই দৃশ্য
বাসযাত্রীদের নজর কাড়ে
আর মেয়েটি তার পার্স থেকে খুচরো পয়সা বের করে
আর আমি পয়সা দেখার নাম করে
মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থাকি
প্রতিদিন কিংবা প্রায় প্রতিদিন আমার স্ত্রী
খুচরো পয়সা সংগ্রহ করে
আর ঐ মেয়েটি প্রতিদিন কিংবা প্রায় প্রতিদিন
খুচরো পয়সা খরচা করে
ব্যয় করা থেকে জমানো অনেক ভালো
তবু মেয়েটির দিকে আমার আগ্রহ
অভাবের সংসারে প্রতিদিন কিংবা প্রায় প্রতিদিন
আমি ঐ খুচরো পয়সা মেয়েটিকে ভাবি।