এক একটি দিন আমার রোদের প্রান্তর থেকে ফিরে আসে
রক্তাক্ত করে আমার মনন অশ্বত্থের ঝুলের নিকষ আঁধার
আমার চোখ জুড়ে খেলে,
গভীর রাতের অশরীরী আত্মায় ভর করে হেঁটে বেড়ায় নিঃশব্দে,
খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত হয় প্রতীক্ষা।
আমি বলিনি তোমায় সেসব অনুভূতির কথা
যদি বুঝে যাও আমার অভিমান!
প্রতীক্ষা একটু একটু করে নষ্ট করে প্রেম সুখের ঘরে আগুন লাগায়
উদ্বৃত্ত উদ্বেগ যতটুকু মধু ঝরায় ক্ষয়িষ্ণু অপরাহ্নে
দু'ঠোঁটের অল্প ফাঁকে যতটুকু বলা যতটুকু নীরবতা
তার চেয়েও ক্ষতিগ্রস্ত করে অপেক্ষারত সময়।
জন্মদিনে দেওয়া একগুচ্ছ গোলাপের পাপড়ি ছড়ানো সুবাসও দুর্গন্ধ ছড়ায়
\হঅপেক্ষার কৃষ্ণপক্ষের জলে।
তাই তো প্রতীক্ষার প্রান্তরে আমি ভাঙাগড়ার খেলায় মাতি
চোখের জলে হাত বেয়ে নেমে যায় লকলকে আগুন
ট্রিগারে চেপে ধরি ফুল পাতা কলি আর কঁচি ডালের নির্যাস।
দক্ষিণের বুক-ভাঙ্গা বাতাসে ছড়িয়ে দেই আমার পরিত্যক্ত
\হবসন্তের লাশ পোড়া ঘ্রাণ।
এভাবেই আমার শহর জুড়ে নেমে আসে অবশ রাত
সন্ধ্যার ঢেউ ভেঙে এগিয়ে চলে ভোরের দূরদর্শী চোখ
আমি জেগে ওঠি জ্বলন্ত শক্তির জনস্রোতে
জাগ্রত হয় আমার বিবশ অভিমান আর প্রতীক্ষা।
অনিশ্চিত জেনেও আবার তোমার প্রতীক্ষার হাটুতে মুখ গুঁজে পড়ে রই,
কোনো এক পরাভূত মানুষের রাজটিকা আমার ললাটের
\হঘাম জুড়ে বিকৃত অট্টরবে মুখর...